<p>চন্ডিকা হাথুরাসিংহের বিদায় নিশ্চিতই ছিল। আজ এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। তাকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।  <br /> লঙ্কান এই কোচের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পাচ্ছেন ফিল সিমন্স। আপাতত আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।</p> <p>৬১ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ান এই কোচ এর আগে আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের ( ২ মেয়াদে) প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বিশ্বকাপে ছিলেন পাপুয়া নিউগিনির বিশেষজ্ঞ কোচের দায়িত্বে। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও বিভিন্ন দলকে কোচিং করিয়েছেন সিমন্স। গত পিএসএলে তিনি করাচি কিংসের হেড কোচ ছিলেন। মেজর লিগে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হেড কোচ তিনি। </p> <p>তাকে বাংলাদেশ কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেছেন, ‘তিনি  (ফিল সিমন্স) একজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান, অনেক দেশের প্রধান কোচ ছিল। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই মেয়াদে প্রধান কোচ ছিলেন, এর বাইরে আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে হয়ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে অত বড় নাম নেই। তবে সে একজন কোচ যার ট্র্যাক রেকর্ড ভালো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও অনেক কাজ করেছে, পাকিস্তানে এখনও সে কাজ করছে। মেজর লিগ ইউএসএ তে কাজ করেছে। সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। বুঝতে হবে এখনও ইন্টেরিম পিরিয়ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত আমাদের চুক্তিটা।’ </p> <p>ফিল সিমন্স এর আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার জন্য বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরাও নাকি তাকে কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন। তবে সিমন্স খেলোয়াড়দের স্বার্থের ব্যাপারে আপোষ করেন না, এই ধারণা থেকে তৎকালীন বোর্ড তাকে নিয়োগ দেয়নি। ঘটনাচক্রে পছন্দের কোচকেই এখন ড্রেসিংরুমে পাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।  </p> <p>২০০২ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর কোচিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হন তিনি। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। তবে এক বছরের মাথায় ২০০৫ সালে বরখাস্ত হন তিনি। </p> <p>এর পর ২০০৭ সালের ওয়ান-ডে বিশ্বকাপের পর আয়ারল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব থেকে আদ্রিয়ান বিরেল পদত্যাগ করলে সিমন্স তার স্থলাভিষিক্ত হন। মার্চ, ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার কোচিংয়ে আয়ারল্যান্ড ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ডেকে হারায়।</p> <p>আয়ারল্যান্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পরপরই নিজের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন সিমন্স। ২০১৬ সালে তার সময়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলে। ওই বছরই তিনি দায়িত্ব ছাড়েন। </p> <p>ফিল সিমন্স আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ ছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১৭ সালে প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। আফগানিস্তানে ক্রিকেটে কাজ করেন ২ বছর। ২০১৯ সালে আবার কোচ হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি পদত্যাগ করেন। এবার বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে যুক্ত হলেন। </p> <p>২১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই শুরু হচ্ছে ফিল সিমন্সের বাংলাদেশ অধ্যায়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মাঝখানে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আছে বাংলাদেশের। আপাতত এই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবেন সিমন্স।<br />  </p>