<p>বয়সটা কম হয়নি লিওনেল মেসির। আসছে ২৪ জুন ৩৮ বসন্তে পা দিবেন তিনি। কিন্তু ৩৭ বছর বয়সেও নিজেকে ‘বাচ্চা’ ছেলে মনে করছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। আজ বলিভিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড হ্যাটট্রিক করার পর এমনটিই জানিয়েছেন ইন্টার মায়ামির তারকা।</p> <p>বাবা-মায়ের কাছে সন্তান যেমন ছোট্ট শিশুই থাকেন, ঠিক তেমনি আর্জেন্টিনা দলেও নিজেকে ‘বাচ্চা’ ছেলেই মনে করেন মেসি। ৩৩৪ দিন পর ঘরের সমর্থকদের সামনে ম্যাচ খেলা সাবেক বার্সেলোনা প্লে-মেকার বলেছেন, ‘এখানে (আর্জেন্টিনায়) আসতে পারা সত্যি দারুণ। লোকদের ভালোবাসা অনুভব করতে পারি। যা আমার চালিকা শক্তি। এখানে আসলে সুখী অনুভব করি। আমার বয়স সত্বেও যখন এখানে আসি তখন নিজেকে বাচ্চা মনে হয়। কারণ দলটির সঙ্গে খেলতে পারা তৃপ্তির। যতদিন ভালো অনুভব করি ততদিন এভাবে পারফর্ম করতে চাই। উপভোগ করতে চাই।’</p> <p>প্রায় এক বছর পর মেসিকে ঘরের মাঠে খেলতে দেখতে পেরে তার নাম ধরে চিৎকার করেন সমর্থকেরা। তার প্রতিদানও দিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে ১০তম হ্যাটট্রিক করে। এতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা স্পর্শ করেছেন মেসি। প্রথম ফুটবলার হিসেবে ২০২১ সালে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ১০তম হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। এখন রেকর্ডটা ভাগভাগি করছেন ফুটবলের দুই মহারথী। আজ আর্জেন্টিনার ৬-০ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোলে অবদানও রেখেছেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। </p> <p>ম্যাচ শেষে সমর্থকদের চিৎকার এবং অবসর নিয়ে মেসি বলেছন, ‘যেভাবে আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল তাতে আবেগী হয়ে পড়েছিলাম। সমর্থকদের সঙ্গে এমন সম্পর্ক সবাই উপভোগ করি। ঘরের মাঠে খেলতে আমরা ভালোবাসি। ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো তারিখ ঠিক করিনি। এখন সবকিছু উপভোগ করছি। আগের চেয়ে বেশি আবেগী হয়ে পড়ছি। সমর্থকদের ভালোবাসা নিচ্ছি, কারণ জানি, এসবই আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে।’</p>