<p>কঠিন এক সময়ই পার করছিলেন বাবর আজম। এতটাই কঠিন সময় পার করেছেন যে সর্বশেষ ২২ ইনিংসে ছিল না তার কোনো ফিফটি। অবশেষে সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের।</p> <p>খেলেছেন ৭৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার রানে ফেরার দিনে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে ৮১ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।</p> <p>কেপটাউনে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের প্রথম ৬ ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেও নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। যার ফলে ‘নিঃসঙ্গ শেরপার’ মতো একাই লড়াই করে যাওয়া হেনরিখ ক্ল্যাসেনের পাওয়া হয়নি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।</p> <p>শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ক্ল্যাসেন খেলেছেন ৯৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১৩১.০৮ স্ট্রাইকরেটের ঝোড়ো ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৪ ছক্কা ও ৮ চারে। পাকিস্তানের হয়ে ৪৭ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএল মাতানোর অপেক্ষায় থাকা শাহীন শাহ আফ্রিদি।</p> <p>এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও তৃতীয় উইকেটের দারুণ এক জুটিতে বড় স্কোরের ভিত পায় পাকিস্তান। ১১৫ রানের জুটি গড়ে সেই এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর। ৭ চারে বাবর ৭৩ রানে আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি রিজওয়ানও। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ রানে বিদায় নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। </p> <p>শেষদিকে ১৯৬.৮৭ স্ট্রাইকরেটে ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংসে বড় স্কোর এনে দেন কামরান গুলাম। ইনিংসটি সাজান ৫ ছক্কা ও ৪ চারে। এমন ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও জুটে তার কপালে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অভিষিক্ত পেসার কিয়েনা মাফাকা। সিরিজের শেষ ওয়ানডে আগামী ২২ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে।</p>