পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রতীকী ছবি

পাকিস্তানে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। আজ শনিবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব, খাইবারপাখতুনখোয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

পাকিস্তানের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূমি থেকে ১২ মিটার গভীরে, যা পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। 

ভূমিকম্পের সময়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বড় ধরনের ভবনধস কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও জানা যায়নি।

এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।

সূত্র : জিও নিউজ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ
ছবিসূত্র : এএফপি

ইরাকে ব্যাপক ধূলিঝড় হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ধূলিঝড়ের পর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এক হাজারেরও বেশি লোক। মুথান্না প্রদেশের একজন কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৭০০ জনের শ্বাসকষ্টের ঘটনা ঘটেছে।

অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে,  এলাকাগুলো ঘন কমলা রঙের কুয়াশায় ঢাকা।

স্থানীয় মিডিয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান চলাচল বন্ধের খবর দিচ্ছে। ইরাকে ধূলিঝড় সাধারণ হলেও কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়ে উঠছে।

আরো পড়ুন
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

 

এএফপি অনুসারে, পথচারীরা ধুলা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মুখোশ পরছে। শ্বাসকষ্টজনিত লোকদের সহায়তা করার জন্য প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

দক্ষিণ ইরাকের মুথান্না প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে ৭০০ জন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে স্থানীয় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাজাফ প্রদেশে ২৫০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং শিশুসহ কমপক্ষে ৩২২ জন রোগীকে দিওয়ানিয়াহ প্রদেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধী কার এবং বসরা প্রদেশে ৫৩০ জন শ্বাসকষ্টের সমস্যা রিপোর্ট করেছেন। ধূলিঝড় ইরাকের দক্ষিণ প্রদেশগুলোকে কমলা মেঘে ঢেকে ফেলেছিল।

ফলে দৃশ্যমানতা এক কিলোমিটারেরও কম (০.৬২ মাইল) হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষকে নাজাফ এবং বসরা প্রদেশের বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া পরিষেবা অনুসারে, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালেও একটি তীব্র ধূলিঝড়ে একজনের মৃত্যু হয় এবং ৫ হাজারের বেশি লোকের শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইরাক ভবিষ্যতে বেশি বশি ধূলিঝড়ের মুখোমুখি হবে।

 

সূত্র : বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সোমবার সুদানে দুই বছরের গৃহযুদ্ধের ফলে শিশুদের বিরুদ্ধে হত্যা থেকে অপহরণ পর্যন্ত বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা ১ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল বলেছে, এই ধরনের ঘটনার মধ্যে পঙ্গুত্ব এবং স্কুল ও হাসপাতালে আক্রমণও অন্তর্ভুক্ত। যা আগে কয়েকটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এবং সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে আরো কিছু অঞ্চলে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দুই বছরের সহিংসতা এবং বাস্তুচ্যুতি সুদানজুড়ে লাখ লাখ শিশুর জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে।’

ইউনিসেফ কর্তৃক এএফপিকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে  যাচাইকৃত ঘটনায় নিহত, পঙ্গু হওয়া শিশুর সংখ্যা ১৫০টি থেকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে আনুমানিক ২ হাজার ৭৭৬টিতে পৌঁছেছে।

আরো পড়ুন
সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

 

স্কুল এবং হাসপাতালে আক্রমণের যাচাইকৃত ঘটনাও ২০২২ সালের ৩৩টি থেকে বেড়ে প্রায় ১৮১টিতে পৌঁছেছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।

২০২৩ সালের শুরুতে ৭৮ লাখ থেকে আজ ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল, ‘সুদান আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।’ কিন্তু এটি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে না।

রাসেল বলেন, আমরা সুদানের শিশুদের পরিত্যাগ করতে পারি না।

আমাদের দক্ষতা এবং সহায়তা বৃদ্ধির সংকল্প আছে। তবে আমাদের প্রবেশাধিকার এবং টেকসই তহবিল প্রয়োজন।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি, আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধ প্রথম শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। জাতিসংঘের মতে, তখন থেকে এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দারফুরের জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরসহ কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানে আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

সুদানে বিদ্রোহীদের হামলায় ৪ শতাধিক নিহত

এদিকে সুদানের দারফুরে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাম্প্রতিক হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। নিহতদের মধ্যে ৯ জন মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, প্রাণহানি নিয়ে সংস্থার যাচাই প্রক্রিয়া এখনও চলমান। রোববারের সহিংসতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলেও মত দেন তিনি।

সূত্র : এএফপি, বিবিসি

 

মন্তব্য

কিভাবে হবে সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচন?

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
কিভাবে হবে সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচন?
সংগৃহীত ছবি

সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের ১১ মার্চ ইলেকটোরাল বাউন্ডারি রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছে। তবে নির্বাচনের মূল প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।

দলগুলো অপেক্ষা করছে ‘রিট অব ইলেকশন’ নামে একটি সরকারি ঘোষণার। যেটি নির্বাচনের তারিখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে দেয়। এ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট জারি করেন। 

এই রিট ঘোষণার পরে জানানো হবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ও ভোট দেওয়ার দিন।

আগে যেসব নির্বাচনে এই রিট দেওয়া হয়েছিল, সেখানে সময়সীমা ভিন্ন ছিল। 

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যিনি থাকবেন, তাকে বলা হয় রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নের দিন প্রার্থীরা তাদের কাগজপত্র জমা দেন। প্রার্থীর সঙ্গে একজন প্রস্তাবকারী, একজন সমর্থনকারী ও অন্তত চারজন সমর্থক থাকতে হয়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সকাল ১১টা থেকে ১২টা। এ সময়ের মধ্যেই প্রার্থীদের নির্বাচনী জামানত জমা দিতে হয়, যা এমপিদের মাসিক বেতনের সমান বা কাছাকাছি হয়। ২০২০ সালে জমা নির্বাচনী জামানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। যদি কোনো প্রার্থী মোট ভোটের কমপক্ষে ১২.৫ শতাংশ পান, তাহলে এই টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হয়।

মনোনয়নের সময় শেষ হলে প্রার্থীরা একে অন্যের কাগজপত্র দেখে আপত্তি তুলতে পারেন।

কারোর আপত্তি যদি রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেন, তাহলে সেই প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না। যদি একটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকেন, তাহলে নির্বাচন হবে। আর যদি একজনই থাকেন, তাহলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এটি ‘ওয়াকওভার’ নামে পরিচিত। মনোনয়ন শেষে প্রার্থীরা ধন্যবাদ বক্তব্য দিতে পারেন, যা টিভি ও অনলাইনে সম্প্রচারিত হয়।

দলের প্রচারণা শুরু হয় মনোনয়নের পরদিন থেকেই এবং এটি চলে ‘কুলিং অব ডে’ পর্যন্ত। প্রচারণার সময় প্রার্থীরা পথসভা করতে পারেন, লিফলেট বিলি করতে পারেন, পোস্টার টাঙাতে পারেন, ঘরে ঘরে যেতে পারেন ও অনলাইনে প্রচার চালাতে পারেন। তবে পুলিশের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত স্থানে পথসভা করতে হয়।

ভোটের আগের দিনকে বলা হয় ‘কুলিং অব ডে’। এই দিন পুরোপুরি প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকে, যেন ভোটাররা নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 

এরপর আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন—ভোটের দিন। সিঙ্গাপুরে এই দিন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষিত থাকে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট শেষ হলে ব্যালট বাক্সগুলো ভোট গণনার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই ফলাফল জানানো হয়, যদিও তার আগেই ‘স্যাম্পল কাউন্ট’ প্রকাশ পায়। যা থেকে একটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায় কে জিততে পারে।

সূত্র : দ্য স্ট্রেইটস টাইম

মন্তব্য

১১টি জীবন বদলে দেওয়া হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেছে দুবাই হেলথ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১১টি জীবন বদলে দেওয়া হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেছে দুবাই হেলথ
সূত্র : খালিজ টাইমস

মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড চ্যারিটি এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে অংশীদারত্বে দুবাই হেলথ বিভিন্ন বয়সের রোগীদের ১১টি জটিল হৃদরোগ সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ না থাকা রোগীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে দুবাই হেলথের জনহিতকর শাখা আল-জলিলা ফাউন্ডেশন এই প্রচারণা পরিচালনা করছে। পরিষেবাগুলোর মধ্যে দুবাই হেলথ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ হৃদরোগ ‘সার্জারি এবং ক্যাথেটারাইজেশন’ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

উদ্যোগটি দুবাই হেলথের ‘পেশেন্ট ফার্স্ট’ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল।

এ ছাড়া ‘নবাদাত’ প্রচারণার অংশ হিসেবে জন্মগত হৃদরোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের  চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি মানবিক উদ্যোগ।

আল-জালিলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আমের আল জারুনি বলেন, ‘নবাদাত প্রচারণার মাধ্যমে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মানবিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব এবং কার্ডিয়াক সার্জারি উদ্যোগের প্রতি তাদের সমর্থনের জন্য আমরা গর্বিত। এই অংশীদারত্ব দাতব্য ও মানবিক কাজের পরিধি সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার গুরুত্বকে তুলে ধরে।’

মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মানবিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক সালেহ জাহের আল মাজরুই মন্তব্য করেছেন, ‘নবাদাত’ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা আমাদের জাতির মধ্যে সহানুভূতির স্থায়ী মূল্যবোধকে তুলে ধরেছে।

মূলত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের সহায়তা করার জন্য ‘নবাদাত’ চালু করা হয়েছিল।’

দুবাই হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির প্রধান এবং ‘নাবাদাত’ উদ্যোগের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. ওবায়েদ মোহাম্মদ আল জসিম জোর দিয়ে বলেন, ‘দুবাই হেলথ আমাদের চিকিৎসা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এ ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অভিযানের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা সব সম্পদ এবং চিকিৎসাদলকে একত্রিত করেছি, ১১টি জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রোপচার করেছি, যার ফলে সব রোগী সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে উঠেছে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দাতব্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বিভিন্ন বয়সের হৃদরোগীদের চিকিৎসার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করেছে।

১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা আল-জালিলা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা পায়, অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের দুবাই হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়।

পরামর্শদাতা কার্ডিওভাসকুলার সার্জন এবং ‘নাবাদাত’ মেডিক্যাল টিমের নেতা অধ্যাপক জুহাইর আল হেলিস বলেছেন, কিছু জটিলতা এবং দীর্ঘ সময়কাল সত্ত্বেও সব অস্ত্রোপচার জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রোগীরা স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে।

এই রোগীদের মধ্যে আছেন ৩৪ বছর বয়সী একজন নারী, যার শরীরে ছত্রাকজনিত কৃত্রিম ভালভ এবং মহাধমনির মূলের চারপাশে প্রদাহ ছিল। জটিলতা সত্ত্বেও সফলভাবে তার প্রাকৃতিক ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়।

আরেকটি ঘটনায়, একজন যুবকের হার্টের ভালভ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রশিদ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় দলটি তার পাঁজরের ভাঙা অংশে সফল অস্ত্রোপচার করেছে। তৃতীয় রোগী ২৩ বছর বয়সী একজন পুরুষ। তার জন্মগত ট্রাইকাস্পিড ভালভ ত্রুটির চিকিৎসাও সফলভাবে শেষ হয়েছে।

সূত্র : খালিজ টাইমস

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ