কোয়াড দেশগুলোর নেতারা আজ মঙ্গলবার টোকিওতে বৈঠক করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি এবং নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করবে।
এরই মধ্যে চীন বলেছে, তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল সোমবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর থেকে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়।
চীনা স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের দাবি, চীনকে দাবিয়ে রাখতে তাইওয়ান কার্ড ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন। কিন্তু তারা যে আগুন নিয়ে খেলছে সেটি তাদেরই দগ্ধ করবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের জনগণের দৃঢ় সংকল্প, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও জোরালো সামর্থ্যকে খাটো করে দেখা কারো উচিত হবে না।
চীনের কাছে সমঝোতা করা বা ছাড় দেওয়ার কোনো জায়গা নেই।
এদিকে তাইওয়ানে চীন হামলা চালালে সামরিকভাবেই এর জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মূলত চীনকে ঠেকাতে ২০১৮ সালে কোয়াড জোট গঠন করা হয়। জোটের মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে সেই চীনকে উদ্দেশ করেই কড়া বার্তা দিয়েছেন বাইডেন।
ওই চার জাতি বৈঠকের আগের দিন সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠকে এবং বৈঠক-পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বারবার আসে চীন প্রসঙ্গ।
টোকিও-ওয়াশিংটন উভয় পক্ষই জানায়, জলভাগে চীনের তৎপরতা এবং চীন-রাশিয়া যৌথ মহড়ার ওপর নজর রাখবে তারা। এরপর বাইডেন আরেক ধাপ এগিয়ে কথা বলেন। তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ, সেই অঙ্গীকারই আমরা করেছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এক চীন নীতিতে সম্মতি দিয়েছি।
কিন্তু জোর করে (তাইওয়ানকে) নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনাটা একেবারে জুতসই নয়। এতে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে এবং ইউক্রেনের মতো একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। ’
তাইওয়ানের আকাশে প্রায়ই চীনা যুদ্ধবিমানের প্রবেশ এবং তাইওয়ান প্রণালিতে চীনে নৌবাহিনীর মহড়াসহ নানাভাবে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের বিষয়েও কথা বলেন বাইডেন। তাঁর মতে, তাইওয়ানের আকাশের কাছে বিমান ওড়ানোসহ অন্যান্য তৎপরতার মধ্য দিয়ে চীন ‘বিপদ নিয়ে খেলছে’।
সূত্র: আল জাজিরা।