এবার নরবলির অভিযোগ ভারতের ওড়িশায়। অভিযুক্ত এক নারী পুরোহিত। ১৪ বছর বয়সী অসুস্থ ছেলের রোগ সারাতে আশ্রমের নারী পুরোহিতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। অভিযোগ, রোগ সারানোর নাম করে ওই কিশোরকে বলি দেওয়া হয়েছে।
এবার নরবলির অভিযোগ ভারতের ওড়িশায়। অভিযুক্ত এক নারী পুরোহিত। ১৪ বছর বয়সী অসুস্থ ছেলের রোগ সারাতে আশ্রমের নারী পুরোহিতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। অভিযোগ, রোগ সারানোর নাম করে ওই কিশোরকে বলি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ওড়িশার তুসারা গ্রামের। অভিযুক্ত নারী পুরোহিতের নাম ঋতাঞ্জলি বাগ। বাসন্তী নামের এক নারী তার অসুস্থ ছেলে সঞ্চিত বিসওয়ালকে নিয়ে ঋতাঞ্জলির দ্বারস্থ হন।
বাসন্তীর অভিযোগ, রাতে পুজোপাঠের পর ছেলেকে ও তাকে আলাদা ঘরে শুতে দেওয়া হয়। পরদিন সকাল থেকেই ছেলে নিখোঁজ।
এর পরই সঞ্চিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত জঙ্গল থেকে তার পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। যদিও দেহের নিচের অংশ মেলেনি। যা জানার পর আরেক দফা উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা। প্রশাসন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
সম্পর্কিত খবর
ইসরায়েলের পর এবার ব্রিটিশ তরুণীকে ভারতের দিল্লিতে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের একজন ওই তরুণীর বন্ধু। সামাজিকমাধ্যমে আলাপ হওয়ার পর বন্ধুত্ব হয়েছিল তাদের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায় ছুটি কাটাতে ভারতে এসেছিলেন যুক্তরাজ্যের ওই তরুণী। সেখানে গিয়ে সামাজিকমাধ্যমে পরিচয় হয় বন্ধুকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন তরুণী। কিন্তু বন্ধু তাকে দিল্লি চলে যেতে বলেন।
বন্ধুর কথায় দিল্লির একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন ব্রিটিশ তরুণী।
বুধবার সকালে দিল্লির বসন্তকুঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকেই কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলায় এক ইসরায়েলি নারী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তাদের সঙ্গে থাকা স্থানীয় একটি স্টে-হোম' এর নারী মালিককেও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল।
সূত্র : আনন্দবাজার।
শনি গ্রহের চারপাশে ১০০টিরও বেশি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাইওয়ান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একত্রে এই আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএইউ)।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এটি সম্ভবত ১০ কোটি বছরের মধ্যে একটি সংঘর্ষের ফল।
বৃহস্পতির রয়েছে ৯৫টি পরিচিত চাঁদ, ইউরেনাসের ২৮টি এবং নেপচুনের ১৬টি।
গবেষণা দলের প্রধান, তাইওয়ানের অ্যাকাডেমিয়া সিনিকার জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পোস্টডক্টরাল গবেষক ড. এডওয়ার্ড অ্যাশটন বলেন, ‘আমরা ১২৮টি নতুন চাঁদ খুঁজে পেয়েছি। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতির পক্ষে শনিকে আর ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
শনির নতুন আবিষ্কৃত চাঁদগুলো পৃথিবীর চাঁদের মতো বড়, সুন্দর এবং গোলাকার নয়। এগুলো ছোট ছোট চাঁদ, যা আলুর মতো আকৃতির। এগুলোকে একত্রে ‘ইরেগুলার মুনস’ বলা হয়। চাঁদগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে ‘শিফট অ্যান্ড স্ট্যাক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরপর ছবি তুলে চাঁদগুলোর চলার পথ অনুসরণ করেন।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক ব্রেট গ্ল্যাডম্যান বলেন, ‘এগুলো সম্ভবত মূলত শনির ধরা পড়া কয়েকটি বড় চাঁদের টুকরো, যা হয় শনির অন্য চাঁদের সঙ্গে, নয়তো কোনো ধাবমান ধূমকেতুর সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষের কারণে ভেঙে গেছে।’
এই চাঁদগুলোর গতিবিধি বিশ্লেষণ করলে শনির বিখ্যাত বলয়গুলোর উৎপত্তি সম্পর্কেও নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, শনির বলয় কোনো এক সময় গ্রহটির মহাকর্ষীয় শক্তিতে ধ্বংস হওয়া একটি চাঁদের অবশিষ্টাংশ।
অন্যদিকে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার ‘হেরা’ মঙ্গল গ্রহের ছোট চাঁদ ‘ডেইমস’ পর্যবেক্ষণ করবে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার হেরা মহাকাশযান বুধবার মঙ্গল গ্রহের দিকে উড়ে যাবে এবং এর সবচেয়ে ছোট ও দূরবর্তী চাঁদ ডেইমসের মাত্র ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে।
ডেইমস মাত্র ৭ মাইল বিস্তৃত এবং বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি হয় মঙ্গলের কোনো বিশাল সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে, নয়তো এটি কোনো গ্রহাণু, যা মঙ্গলের মহাকর্ষীয় শক্তিতে আটকা পড়েছে। হেরা আরো বৃহৎ চাঁদ ফোবোসকেও ছবি তুলবে এবং এরপর এটি ডিমরফোস নামক এক গ্রহাণুর উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। তিন বছর আগে নাসার একটি মহাকাশযান ইচ্ছাকৃতভাবে একে আঘাত করেছিল।
হেরা ডিমরফোসে পৌঁছে সংঘর্ষের প্রভাব বিশ্লেষণ করবে, যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা বিপজ্জনক গ্রহাণুকে প্রতিরোধের কৌশল উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টেসলার একটি লাল গাড়ি কিনেছেন। তবে কেনার সময়ই তিনি বলেছেন, তিনি এই গাড়ি চালাবেন না। কারণ রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই তার। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি আমার বন্ধু ইলন মাস্কের কাছ থেকে একটি টেসলা কিনেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমার গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। নিরাপত্তার কারণে এই নিয়ম করা হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য এই নিয়ম জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস।
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সমালোচনা এবং আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি তার কোম্পানির কাছ থেকে একটি টেসলা গাড়ি কিনবেন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে শক্তিশালী উপদেষ্টাকে সমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মাস্ক গত বছর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন এবং ট্রাম্পের এই মেয়াদের প্রশাসনে তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ফেডারেল সরকারের ব্যয় সংকোচনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেন, ইলন মাস্কের প্রতি আস্থা ও সমর্থন প্রদর্শন হিসেবে তিনি একটি নতুন টেসলা কিনতে যাচ্ছেন। শেয়ার বাজারে টেসলার স্টক মূল্যের পতন হওয়াতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কোম্পানিটি।
২০২৩ সালের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ মানুষের।
সিক্রেট সার্ভিসের উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এজেন্টরা গাড়ি চালান আর প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্ট সেই গাড়িতে চলাফেরা করেন। যদিও এই বিষয়ে কোনো আইন নেই, তাদের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা। খুব যদি ইচ্ছে করে চালাতে তাহলে বাড়ির কম্পাউন্ডের ভেতরে চালাতে পারবেন, যেমন চালিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর রোনাল্ড রিগ্যান বা জর্জ ডব্লিউ বুশ তাদের র্যাঞ্চে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি থাকা সব যাত্রীকে উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর অভিযান শেষ হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ৩৩ হামলাকারীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন।
জিম্মি হওয়া ট্রেন থেকে মুক্তি পেয়ে বিবিসি এএফপি ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন যাত্রীরা। বিদ্রোহীদের হাত থেকে বাঁচতে কীভাবে তারা লুকিয়েছিলেন, কী ভাবে প্রতিনিয়ত সন্তানদের বাঁচানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন, কী কী দেখেছেন, মুক্তির পর সেই ঘটনাবলির ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়েছেন অনেকে।
ইশাক নুর নামের এক যাত্রী মুক্তির পর বিবিসিকে বলেন, ‘গুলির পর গুলি চলছিল।
সন্তানদের আড়াল করে বসেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফ ও তার স্ত্রী। যাতে কোনোভাবে গুলি তাদের দিকে চলে এলে আগে বাবা-মায়ের গায়ে লাগে।
আরেক এক যাত্রী এএফপিকে জানিয়েছেন, সশস্ত্র বন্দুকধারীরা যাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন কারা বেলুচিস্তান প্রদেশের, আর কারা বাইরের। পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার পর যাত্রীদের সামনেই কয়েকজন সেনাকে গুলি করেন বিদ্রোহীরা।
মোহাম্মদ নাভিদ নামে আরেক যাত্রী বলেন, প্রথমেই আমাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে সন্ত্রাসীরা পুরুষ ও নারীদের আলাদা করে দাঁড় করায়। তারপর নারী এবং বয়স্কদের চলে যেতে বলে। ট্রেন নিজেদের দখলে নেওয়ার পর বেলুচ বিদ্রোহীরা নিজেদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা করছিলেন, মুক্তির পর তাও জানিয়েছেন বন্দিরা।
মুশতাক মোহাম্মদ বলেন, 'বিদ্রোহীরা মূলত বেলুচ ভাষায় নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। তাদের নেতা বার বার সতর্ক করে দিচ্ছিলেন। সকলকে সজাগ থাকতে বলছিলেন। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির দিকে নজর রাখতে বলা হচ্ছিল।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা জেলার বাসিন্দা নোমান আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি ওই ট্রেনে ঈদের জন্য বাড়ি ফিরছিলেন।তার কথায়, ‘আমরা যখন বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়, তখন গুলি থেকে বাঁচতে ট্রেনের কামরার দরজা বন্ধ করে দেই। কিছুক্ষণ পর একজন সন্ত্রাসী এসে বাকি যাত্রীদের থেকে নারী এবং বয়স্কদের আলাদা করে নিয়ে যায়। কয়েকজন আহত যাত্রী ট্রেনের মধ্যে থেকে যায়। তারা বের না হতে চাওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপরে গুলি চালায়।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ট্রেনটিতে মোট ৪৪০ জন যাত্রী ছিল। অভিযানে ৩৩ সন্ত্রাসীর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অভিযানের সময় কোনো যাত্রী নিহত হননি। তবে এর আগেই ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন হামলাকারীরা।
কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনে গত মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাদের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ রয়েছেন। এ ছাড়া তারা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। এ কারণে অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।