<p>তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার দায়ে বুধবার তিন সেনাসহ ঘানার ছয় নাগরিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর নেতা কোয়ামে এনক্রুমাহকে উৎখাত করার পর ১৯৬৬ সালের পর ঘানায় এটিই প্রথম রাষ্ট্রদ্রোহের বিচার। বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার পতনের অভিযোগে রাজধানী আক্রায় অস্ত্র পরীক্ষার সময় ২০২১ সালে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এক বন্দুকধারীসহ এই দলটি বিচারের সময় দোষ অস্বীকার করে, যা জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।</p> <p>গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এদিন সাজা ঘোষণার সময় আক্রা হাইকোর্টের বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, দুই সামরিক কর্মকর্তাসহ আরো তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহ ও উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্রে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত।</p> <p>আদালতের নথির বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক, বোমা, একে ৪৭ রাইফেলসহ ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা বলেছেন, গোষ্ঠীটি ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আডোর সরকারকে পতনের জন্য বিক্ষোভ সংঘটনের পরিকল্পনা করেছিল।</p> <p>প্রসিকিউশনের নেতৃত্ব দেওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল গডফ্রেড ইয়েবোহ ডেম আদালতের এ রায়কে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মৌলিক আইন হিসেবে ঘানার সংবিধান, যা জাতির স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে, একটি সরকারকে উৎখাতের যেকোনো প্রচেষ্টাকে গুরুতরভাবে অগ্রাহ্য করে এবং সে কারণেই সেই অপরাধ (রাষ্ট্রদ্রোহ) মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডনীয়।’</p> <p>বিবিসির তথ্য অনুসারে, ঘানা গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে আসার পর সর্বশেষ ১৯৯২ সালে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। গত বছর আইন প্রণেতারা সাধারণ অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে সাজাটি প্রতিস্থাপন করেছিলেন।</p>