প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে রিপাবলিক বাংলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে রিপাবলিক বাংলা
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা। সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুকে এক ভিডিও প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাওয়ায় আর বাংলাদেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। 

বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।

এতে উপস্থাপিকাকে বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশে নেই মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাহলে কোথায় রয়েছেন ইউনূস? ফ্রান্সে মুখ লুকিয়েছেন নাকি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান? ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভ্যানিশ ইউনূস? আদৌ কি দেশে ফিরবেন মুহাম্মদ ইউনূস? তিনি তো প্যারিস থেকেই দেশে এসেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে। এখন কেন তাহলে নেই বাংলাদেশে?

আরো পড়ুন
মোহাম্মদপুরে ‘প্রকাশ্যে জবাইয়ের’ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

মোহাম্মদপুরে ‘প্রকাশ্যে জবাইয়ের’ ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

 

এরপর বার্তাকক্ষের সঙ্গে যুক্ত হন সিনিয়র এডিটর অনির্বাণ সিনহা। তিনি দাবি করেন, বুধবার প্যারিসে গিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সেখানে বসেই মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলে নজর রাখছিলেন। নির্বাচনে ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

তবে প্রধান উপদেষ্টার দেশত্যাগের তথ্য সঠিক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছে কালের কণ্ঠ। গত কয়েক দিনে প্রধান উপদেষ্টার কোনো রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত কাজে বিদেশ সফরের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠের প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি এবং বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি প্রধান মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

আরো পড়ুন
অস্ত্রসহ হাসনাত আবদুল্লাহর এই ছবিটি কি আসল?

অস্ত্রসহ হাসনাত আবদুল্লাহর এই ছবিটি কি আসল?

 

একই দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ নিয়ে দেশের প্রায় সবগুলো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিকস বিভাগের সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সব কিছু প্রমাণ করে দেশেই আছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পাসপোর্ট নিতে ভুলে গেছেন পাইলট, মাঝপথে ঘোরালেন বিমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাসপোর্ট নিতে ভুলে গেছেন পাইলট, মাঝপথে ঘোরালেন বিমান
সংগৃহীত ছবি

ফ্লাইট তখন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে। এমন সময় মনে পড়ল পাসপোর্ট আনেননি সাথে। আর এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন খোদ বিমানের পাইলট। আন্তর্জাতিক ওই ফ্লাইট নিয়ে পরে ফিরে যান বিমানবন্দরে।

জানা যায়, ওই ফ্লাইটে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পাইলটের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মাসুল দিতে হয়েছে তাদেরও। নষ্ট হলো বেশ কয়েক ঘণ্টা। বিষয়টি সামনে আসতেই ইতোমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে।

গত ২২মার্চ এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। শুরুর দিকে বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা হলেও পরে প্রকাশ পেয়ে যায়।

আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে চীনের সাংহাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইনসে আন্তর্জাতিক বিমান ইউএ১৯৮ বোয়িং ৭৮৭-৯ বিমানটি। বিমানে ২৫৭ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

আকাশপথে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সাংহাই যেতে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা কেটে যায়। তারপর পাসপোর্ট না নেওয়ার কথা মনে পড়ে পাইলটের।

জানা গেছে, ওই দিন দুপুর ২টা নাগাদ লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আকাশে ওড়ে বিমানটি। কিন্তু দুই ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর পাইলট দেখেন, পাসপোর্ট সঙ্গে নেই।

বিমান তখন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে। সেই অবস্থাতেই বিমান ঘুরিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে যাওয়া হয়।

বিকেল ৫টার দিকে বিমানটি সান ফ্রান্সিসকোর মাটি ছোঁয়। বিমানের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালানো সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, হঠাৎ করেই মাঝ আকাশে বিমানের মুখ ঘোরানো হয়।

আরো পড়ুন
রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো

রক্তাল্পতার লক্ষণ যেগুলো

 

গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ লেখেন, ‘ইউএ১৯৮ বিমানের মুখ ঘোরানো হলো সান ফ্রান্সিসকোর দিকে। কারণ, পাইলট তার পাসপোর্ট নিতে ভুলে গিয়েছেন? ছয় ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছি। এমনটা মোটেও কাম্য নয়।’

গোটা ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। পাইলটের ভুলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিলেন যে যাত্রীরা তাদের মাথাপিছু ১৫ ডলার করে খাবারের ভাউচার দেওয়া হয়। 
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে সাংহাই যাওয়ার ইউনাইটেড ফ্লাইট ১৯৮ বিমানটি সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে। কারণ পাইলট সঙ্গে করে তার পাসপোর্ট নিতে ভুলে গেছেন। আমরা সন্ধ্যায় যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’ 

আরো পড়ুন
রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

রোজায় চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

 

এরপর বিকল্প বিমানটি যাত্রীদের নিয়ে রাত ৯টা নাগাদ সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর ছাড়ে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে সেই বিমান নামে সাংহাইয়ে। তবে এমন ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। ২০১৯ সালে টোয়ে এয়ারের একটি বিমান ভিয়েতনাম থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ১১ ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছায় বিমানটি। কারণ বিমানের পাইলট নিজের পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেবার রাতভর আটকে ছিল ১৬০ জন যাত্রী।

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ
সংগৃহীত ছবি

বিশ্ব আবহাওয়া দিবস আজ। ১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। গতবছরের তুলনায় এবছর কিছুটা আগেই তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, চলতি মাসে তাপপ্রবাহ সহনীয় থাকলেও এপ্রিল-মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম অনুভূত হবে।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর গুরুত্ব তুলে ধরতে বাংলাদেশসহ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সম্মিলিতভাবে আবহাওয়ার সতর্কবার্তার বাধা দূরীকরণ’। 

আরো পড়ুন
২৩ মার্চ : বাংলার পতাকা উত্তোলনের সেই দিন আজ

২৩ মার্চ : বাংলার পতাকা উত্তোলনের সেই দিন আজ

 

এই প্রতিপাদ্য জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ওপর এবং প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বে ২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে।

এই দিনটি আবহাওয়াবিদদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে। এটি বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডব্লিউএমও-এর প্রচেষ্টাকেও তুলে ধরে।

১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ জাতিসংঘের একটি সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার পরিবর্তে গঠিত হয়। এটি ১৯৫১ সালে তাদের জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য আবহাওয়াবিজ্ঞান, অপারেশনাল জলবিজ্ঞান এবং পৃথিবী বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোকে সমন্বয় করার জন্য কার্যক্রম শুরু করে।

 

১৯৬১ সালের ২৩ মার্চ প্রথম বিশ্ব আবহাওয়া দিবস পালিত হয়।

মন্তব্য

‘OK’ শব্দটির পূর্ণরূপ কী? জানেন না অনেকেই

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
‘OK’ শব্দটির পূর্ণরূপ কী? জানেন না অনেকেই
সংগৃহীত ছবি

আমরা দৈনন্দিন জীবনে কথাবার্তার মাধ্যমে এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করি, যার আক্ষরিক অর্থ খুবই কম জনই জানেন। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত শব্দটি হলো OK শব্দ। আমরা কোনো কিছু কাজ করার জন্য হ্যাঁ-এর পরিবর্তে অনেক সময় OK শব্দটি ব্যবহার করি। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই দুটি অক্ষরের শব্দে এমন কী আছে, যা একটি পূর্ণবাক্য হতে পারে? এসব প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে জানানো হলো।

একইভাবে এর ইতিহাস এবং এর সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নিন।

জানিয়ে রাখি, ‘All Correct’-এর জন্য OK শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে ‘All Correct’ পরিবর্তন করে Oll Correct করা হয়েছে। এই কারণেই AC-এর পরিবর্তে OK শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে; যদিও এর পূর্ণরূপ All Correct, কিন্তু এর অর্থ হলো ‘সবই সঠিক’।

আরো পড়ুন
মেজর জিয়াউর রহমান ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নাসির উদ্দীন

মেজর জিয়াউর রহমান ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নাসির উদ্দীন

 

জানা যায়, ১৯ শতকের প্রথম দিকে শোনার জন্য OK শব্দটি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ইংরেজি শব্দকে আরো আধুনিক করে তোলার প্রবণতা ছিল। মানে ইংরেজি কথাগুলিকে অন্যভাবে বলা হচ্ছিল। এই কারণেই কিছু শব্দের বানান ভুল ছিল, যা তাদের আসল শব্দ থেকে পরিবর্তন করা হয়েছিল।

OK শব্দটিও এই আধুনিক শব্দ থেকেই উৎপত্তি।

আরো পড়ুন
আ. লীগ নিষিদ্ধে সমাবেশের ডাক দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

আ. লীগ নিষিদ্ধে সমাবেশের ডাক দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

 

তবে OK শব্দটির পূর্ণরূপ নিয়েও বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। দুটি শব্দকে সংক্ষেপে OK বলা হয়। Oll Correct বা Olla Kalla-এর পূর্ণরূপ। এই শব্দ দুটি হলো গ্রিক শব্দ, এখন ইংরেজিতে পরিবর্তিত হয়ে All Correct হয়েছে, কিন্তু এর সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে OK-এর পরিবর্তন হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মাস্টারদা সূর্যসেনের জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাস্টারদা সূর্যসেনের জন্মদিন আজ
সংগৃহীত ছবি

ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের প্রধান সংগঠক মাস্টারদা সূর্যসেনের আজ জন্মদিন। তিনি ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মার্চ (আজকের এই দিনে) চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

তার পুরো নাম সূর্যকুমার সেন। ডাক নাম কালু।

বাবা রাজমনি সেন এবং মা শশীবালা দেবী। স্থানীয় দয়াময়ী বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার পর নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন তিনি।

আরো পড়ুন
বিশ্ব পানি দিবস আজ

বিশ্ব পানি দিবস আজ

 

সূর্যসেন যখন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র তখন বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়।

ক্রমে এই আন্দোলন বিপ্লবী আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃঞ্চনাথ কলেজে বিএ পড়ার সময় তিনি তার এক শিক্ষক শতীশচন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন। 

অধ্যাপক শতীশচন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামক বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে ফিরে ব্রিটিশ বিরোধী একটা বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।

সূর্যসেন ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামে ফিরে বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন। আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে তিনি ‘ন্যাশনাল স্কুল’-এ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

আরো পড়ুন
পরশুরামে সোমালিয়ান নাগরিক আটক

পরশুরামে সোমালিয়ান নাগরিক আটক

 

শিক্ষকতা করার কারণে তিনি পরিচিত মহলে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা পান। চট্টগ্রামে তখন বিপ্লবী দলে কাজ করতেন আম্বিকা চক্রবর্তী, অনুরূপ সেন, নগেন সেন (জুলু সেন), চারুবিকাশ দত্তসহ আরো অনেকে। কিন্তু তাদের তৎপরতা ছিল সীমিত পর্যায়ের।

বাংলাদেশে বিপ্লবীরা তখন অনুশীলন ও যুগান্তর এই দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। বহরমপুর থেকে ফিরে এসে সূর্যসেন যুগান্তর দলে যোগ দিয়ে সংগঠনটিকে সক্রিয় করে তোলেন এবং বিবাদমান দল দুইটিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেন।

১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের জেলা কংগ্রেসের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। এতে সূর্যসেন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। একই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর লাহোর জেলে একটানা ৬৩ দিন অনশন করে বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মারা যান। এর প্রতিক্রিয়ায় সারা বাংলায় প্রচণ্ড বিক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সভায় নেতা সূর্যসেন বিপ্লবের পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। বিপ্লবীরা স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন। এর জন্য তারা ‘মৃত্যুর কর্মসূচি’ ঘোষণা করেন।

‘যুগান্তর’ দলের চট্টগ্রাম শাখার নতুন সভাপতি তারকেশ্বর দস্তিদার সূর্যসেনকে চট্টগ্রাম জেল থেকে ছিনিয়ে আনার প্রস্ততি নেন। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। তারকেশ্বর এর সঙ্গে আরো কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে সূর্যসেন, তারকেশ্বর দস্তিদার এবং কল্পনা দত্তের বিশেষ আদালতে বিচার হয়। 

আরো পড়ুন
র‌্যাব ও এপিবিএনকে জনসেবায় কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

র‌্যাব ও এপিবিএনকে জনসেবায় কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

 

১৪ আগস্ট সূর্যসেন ও তারেকেশ্বর দস্তিদার এর ফাঁসির রায় হয় এবং কল্পনা দত্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে উভয়ের ফাঁসি কার্যকর হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ