<p>ঘানার বিদায়ি প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আড্ডো দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সফরকালে নিজের একটি মূর্তির উন্মোচন করেছেন। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ পড়েছে। অনেকেই তার এ কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছে। অনেকেই মূর্তিটি ভেঙে ফেলার দাবি তুলেছে। প্রেসিডেন্টের বিদায়ের পর সেটি সরিয়ে নেওয়ার পক্ষেও অনেকে মত দিয়েছে। অবশ্য এর পক্ষেও কেউ কেউ কথা বলেছে। মূর্তিটির ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।</p> <p>পশ্চিমাঞ্চলের মন্ত্রী কোয়াবেনা ওকিয়ে ডার্কো-মনসা জানিয়েছেন, এই মূর্তি নানার শাসনকালে পরিচালিত উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে সম্মান জানাতে তৈরি করা হয়েছে। সেকন্ডি শহরের একটি হাসপাতালের সামনে এটি স্থাপন করা হয়েছে। নানা বুধবার শহরের এফিয়া-এনকোয়ান্তা আঞ্চলিক হাসপাতালের সামনে স্থাপন করা মূর্তিটি উন্মোচন করেন। তার এই সফরকে বলা হচ্ছে ‘ধন্যবাদ সফর’। অনুষ্ঠানে পশ্চিমাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ডার্কো-মনসা প্রেসিডেন্টের অধীনে শুরু হওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। </p> <p>অনুষ্ঠানটির পর ঘানার অনেকেই এই মূর্তির স্থাপনা নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এই মূর্তি ঘিরে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। তাদের মতে, এটি ‘নিজের প্রশংসার জন্য প্রদর্শনী’ ছাড়া আর কিছুই নয়। ঘানাবাসী মূর্তিটির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে, যেখানে বেশ কয়েকটি প্রধান প্রকল্প এখনো অসমাপ্ত।</p> <p>দেশটির বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ইমানুয়েল আরমাহ কোফি-বুয়া এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের এ ধরনের আত্মকেন্দ্রিক প্রদর্শনীর চেয়ে আরো ভালো কিছু পাওয়ার অধিকার রাখে।’</p> <p>এক্সে এক ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তার কাজের মূল্যায়ন ও সম্মান করতে দিতেন, তা হলে এটি প্রশংসনীয় হতো।’</p> <p>তবে কেউ কেউ এ ঘটনার সমালোচনায় নেই। কিছু মানুষ নানা আকুফো-আড্ডোর দেশের উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মূর্তিটিকে দেখছেন। তাকে ‘ঘানার বিনা মূল্যে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে উল্লেখ করে একজন লিখেছেন, ‘তিনি এই সুন্দর মূর্তির যোগ্য। আমি এ পর্যন্ত যত প্রেসিডেন্ট পেয়েছি, তাদের মধ্যে তিনিই সেরা। ঘানাবাসী আপনাকে মনে রাখবে।’</p> <p>নানা আকুফো-আড্ডো আগামী জানুয়ারিতে দুই মেয়াদের শাসন শেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তিনি ঘানাবাসীদের কাছে দেওয়া ৮০ শতাংশ প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন বলে দাবি করেছেন। প্রেসিডেন্ট জনগণকে তার সহকারী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়াকে পরবর্তী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আকুফো-আড্ডো বলেছেন, তাকে ভোট দিলে দলটির নীতি ও প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আফ্রিকার শীর্ষ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ ঘানায় জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় একটি প্রধান নির্বাচনী ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>