<p>সিরিয়ার একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বুধবার জানিয়েছেন, হোয়াইট হেলমেটের উদ্ধারকারীরা দামেস্কের এক উপশহরে একটি ওষুধের গুদাম থেকে অজ্ঞাতপরিচয় লাশ ও দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির ১০ দিন পর এ ঘটনা ঘটল।</p> <p>হোয়াইট হেলমেটের কর্মকর্তা আম্মার আল-সলমো এএফপিকে বলেন, ‘আমরা সেখানে মরদেহ, হাড়গোড় ও দুর্গন্ধের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পেয়েছি। গুদামের ভেতরে আমরা একটি রেফ্রিজারেটেড ঘর পেয়েছি, যেখানে পচে যাওয়া মরদেহ ছিল।’</p> <p>ঘটনাস্থলে উপস্থিত এএফপির এক ভিডিও সাংবাদিক জানিয়েছেন, ওষুধের বাক্স ছড়িয়ে থাকা গুদামটি সায়্যিদা জাইনাব মাজার থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত, যা শিয়া মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্থান। এ ছাড়া দক্ষিণ দামেস্কের সায়্যিদা জাইনাব উপশহরটি ইরানপন্থী যোদ্ধাদের, বিশেষ করে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটি ছিল। তবে ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা রাজধানী দখল করে নেয়। </p> <p>সলমো আরো বলেন, কিছু মরদেহ দেড় বছরেরও বেশি সময় আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেঝেতে মানব হাড় ছড়িয়ে ছিল এবং সেখানে আনুমানিক ২০ জন ‘শিকার’ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।  </p> <p>এএফপি দেখেছে, সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তিরা মরদেহ ও দেহাবশেষ কালো ব্যাগে ভরে ট্রাকে তুলে নিচ্ছেন। সলমো জানান, যেখানে মরদেহগুলো পাওয়া গেছে, সেখানে ব্যাগে ‘আলেপ্পো-হরাইতান’ (সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও কাছাকাছি একটি এলাকা) এবং সংখ্যা লেখা ছিল। এএফপি স্বাধীনভাবে মরদেহগুলোর পরিচয় বা দেহাবশেষের উপস্থিতির কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি।</p> <p>সিরীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ভিকটিমদের বয়স নির্ধারণ করব। পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করব এবং তাদের পরিবারের সন্ধান করার চেষ্টা করব।’</p> <p>এদিকে আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে বেশ কিছু গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। সিরিয়ার সংঘর্ষে বন্দি ও নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য এখনো সবচেয়ে ভয়ানক বিষয়গুলোর একটি। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের ২০২২ সালের তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কারাগারে নির্যাতনের কারণে এক লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।</p>