<p>বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাতের পর দায়েশ গোষ্ঠী (যা আইসিস নামেও পরিচিত) যাতে বড় হুমকি হয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হয়, এ কারণে সিরিয়ায় মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখা প্রয়োজন। এমনই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। দি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই তথ্য জানিয়েছে। </p> <p>গতকাল বুধবার অস্টিন তার পদত্যাগের আগে তার শেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সেখানে এখনো মার্কিন বাহিনীর প্রয়োজন। বিশেষ করে শিবিরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, যেখানে হাজার হাজার সাবেক দায়েশ যোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যদের আটক রয়েছে। </p> <p>ধারণা করা হয়, শিবিরগুলোতে আট হাজার থেকে ১০ হাজার দায়েশ যোদ্ধা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০০০ জনকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।</p> <p>জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে অস্টিন বলেন, ‘যদি সিরিয়াকে অরক্ষিত রাখা হয়, তাহলে আমি মনে করি, আইএস যোদ্ধারা মূলধারায় ফিরে আসবে।’ জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে তিনি প্রায় ৫০টি অংশীদার দেশের সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। </p> <p>সেখানে তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, দায়েশ গোষ্ঠীকে আটকে রাখতে আমাদের এখনো কিছু কাজ করার আছে।’</p> <p>নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে সিরিয়া থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টা করেছিলেন। যার ফলে সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব জিম ম্যাটিস পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। গত মাসে হায়াত তাহরির আল-শাম গ্রুপ বা এইচটিএস আসাদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার পর ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনীকে সংঘাত থেকে দূরে থাকতে হবে।’</p> <p>দায়েশকে মোকাবেলা করার জন্য সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রায় ২,০০০ সেনা রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে বলে এসেছেন, সেখানে মোট ৯০০ সেনা রয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সিরিয়ার একটি বিশাল অংশ জয় করার পর ২০১৫ সালে মার্কিন সেনাদের পাঠানো হয়েছিল।</p> <p>গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, তার পরিবারের দশকব্যাপী শাসনের অবসান ঘটে। তীব্র বিদ্রোহের পর মার্কিন সেনাদের অব্যাহত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।</p> <p>দায়েশের বিরুদ্ধে অভিযানে মার্কিন বাহিনী কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের সঙ্গে কাজ করেছে। এই গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে, যা তুরস্ক কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকের সহযোগী বলে মনে করে। গোষ্ঠীটিকে তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো গঠনের পথে এবং দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। </p> <p>অস্টিন বলেন, ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) ভালো অংশীদার। একপর্যায়ে এসডিএফ খুব ভালোভাবেই সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং তারপর সিরিয়া সব শিবিরের মালিক হবে। আশা করি, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকবে, কিন্তু আপাতত আমার মনে হয়, সেখানে আমাদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’</p> <p>সূত্র : এপি</p>