ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

আম্বানিপুত্রের বিস্ময়কর চিড়িয়াখানার উদ্দেশে ২০ হাতির বিশাল যাত্রা

  • নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আম্বানিপুত্রের বিস্ময়কর চিড়িয়াখানার উদ্দেশে ২০ হাতির বিশাল যাত্রা
ভারতে তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২০টি হাতি অনন্ত আম্বানির চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ২০টি হাতি স্থানান্তরের বৃহৎ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই হাতিগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ছেলের স্থাপিত বিশাল ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায়, যা একটি বিস্তীর্ণ তেল শোধনাগারের পাশে অবস্থিত।

হাতিগুলোকে ‘শোষণমূলক কাঠ কাটার শিল্প’ থেকে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভান্তারা এনিম্যাল রেসকিউ সেন্টার। এই সেন্টারটি পরিচালনা করেন অনন্ত আম্বানি, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান মুকেশ আম্বানির ছেলে।

ভারতের কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, স্ব-ঘোষিত এই ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্য প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রের আকার বেশ বিস্ময়কর। এখানে ৫০টিরও বেশি ভালুক, ১৬০টি বাঘ, ২০০টি সিংহ, ২৫০টি চিতা, ৯০০টি কুমিরসহ বিভিন্ন প্রাণী রয়েছে। চিড়িয়াখানাটি এমন একটি প্রকল্প, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাণী আনা হয়েছে।  

হাতিগুলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হিমালয়ের অরুণাচল প্রদেশের কুয়াশাচ্ছন্ন বনাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের গুজরাটের সমতলভূমি জামনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পুরো যাত্রাপথটি প্রায় তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার, যা প্যারিস থেকে কায়রোর দূরত্বের সমান। হাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু হাতি, যেগুলো জন্ম থেকেই বন্দি অবস্থায় ছিল এবং কিছু হাতির দেহে গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, যা শিকল পরানোর ফলে হয়েছে।

বিশেষভাবে তৈরি করা ট্রাকে হাতিগুলোকে স্থানান্তর করা হচ্ছে, যেগুলোকে ‘হাতি অ্যাম্বুল্যান্স’ বলা হচ্ছে। এই যাত্রায় দুই শতাধিক কর্মী তাদের সঙ্গে রয়েছেন, যার মধ্যে পশু চিকিৎসকরাও রয়েছেন।

যাত্রাপথের কিছু ছবিতে দেখা গেছে, ধীরে চলা ট্রাকের ওপরের দিকে হাতিগুলোর শুঁড় নড়াচড়া করছে।  

‘উল্লেখযোগ্য মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণা’
ভান্তারার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাতিগুলোকে ‘শৃঙ্খলমুক্ত জীবন’ প্রদান করা হবে এবং তাদের আর কখনোই শ্রমে বাধ্য করা হবে না। এগুলোকে রিলায়েন্স জামনগর রিফাইনারি কমপ্লেক্সের পাশে রাখা হবে। এই কমপ্লেক্সটিকেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল শোধনাগার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সেখানে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই উদ্যোগের প্রশংসাসূচক পোস্ট যেমন দেখা গেছে, তেমনি অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিপন্ন প্রাণীগুলো বনে মুক্ত না করে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন কেন্দ্রে রাখা হবে।

অরুণাচল ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মায়াপুরের একটি হিন্দু মন্দির থেকে আরো দুটি হাতি এ চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেগুলো মন্দিরের অনুষ্ঠানিক কাজে ব্যবহৃত হতো। এই হাতিগুলোর মধ্যে একটি গত বছর তার তত্ত্বাবধায়ককে হত্যা করেছিল। ভান্তারা জানিয়েছে, ‘বন্দি জীবন হাতিদের উল্লেখযোগ্য মনস্তাত্ত্বিক যন্ত্রণা দেয়’ এবং তাদের কেন্দ্র হাতিগুলোর ‘মনস্তাত্ত্বিক পুনরুদ্ধার’ নিশ্চিত করবে।  

ভান্তারা জানিয়েছে, চিড়িয়াখানায় প্রাণিদের দেখভালের জন্য প্রায় দুই হাজার ১০০ কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।  

২০২৪ সালে অনন্ত আম্বানির জমকালো বিয়ের উৎসবের অন্যতম স্থান ছিল এই চিড়িয়াখানা। সেখানে আরঅ্যান্ডবি তারকা রিহানা, জাস্টিন বিবার, কেটি পেরি, ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ ও ইতালীয় টেনর আন্দ্রিয়া বোকেল্লির মতো তারকারা পারফরম করেছেন।  

অনন্তের বাবা মুকেশ আম্বানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান। এই পরিবারের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ভারতের সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনী কম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মুকেশ আম্বানি এই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিশ্বের অষ্টাদশ ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের তথ্য মতে, তার সম্পদের পরিমাণ ৯৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চীন ছাড়া সব দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীন ছাড়া সব দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

চীন ছাড়া যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় দেশগুলোর পণ্যে পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর হবে। তবে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার (৯ এপ্রিল) নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আশা করি নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না বা গ্রহণযোগ্য হবে না।’

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সমঝোতা আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।’

এই প্রেক্ষিতে চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একইসঙ্গে এই সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।

এটাও অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ সূত্র : রয়টার্স।

মন্তব্য

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
প্রতীকী ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সামনে রেখে আসছে।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, তারা অতিরিক্ত ক্ষমতার অধীনে পাঁচটি সংস্থা ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার মধ্যে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থাও রয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে এই পদক্ষেপটি প্রতীকী। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইরান ও বিশেষ করে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করে আসছে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের চাপের নতুন একটি প্রদর্শন, যা চলতি সপ্তাহে ওমানে অনুষ্ঠিত আলোচনাগুলোর আগে আসছে।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনাকে ‘অর্থহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান ইরানের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনাকে ‘অর্থহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান ইরানের

 

ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরানি শাসনের পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতি অবিবেচক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক।’

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য রাখার কথা অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও এখনো পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে।

তারা শুধু বলেছে, ইরান চাইলে দ্রুত বোমা তৈরি করতে সক্ষম।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আগের মেয়াদে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেছিলেন। এখন তিনি কূটনৈতিক সমাধানের আশা প্রকাশ করলেও আলোচনা ব্যর্থ হলে বারবার শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেছেন, আলোচনা যদি বেশি সময় ধরে চলে, তবে সামরিক পদক্ষেপ ‘’অনিবার্য’ হয়ে উঠবে।

মন্তব্য

জার্মানিতে এসপিডিকে নিয়ে সরকার গঠনে রাজি সিডিইউ-সিএসইউ

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জার্মানিতে এসপিডিকে নিয়ে সরকার গঠনে রাজি সিডিইউ-সিএসইউ
রাজধানী বার্লিনে বুধবার দুই পক্ষ থেকেই জোটের গঠনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি : এএফপি

নির্বাচনের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আলোচনা ও দর-কষাকষির পর জার্মানির মধ্য বামপন্থী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এএসপিডি) সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনে একমত হয়েছে রক্ষণশীল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ) ও তাদের বাভারিয়া রাজ্যের সিস্টার কনসার্ন খ্রিস্টীয় সামাজিক দল (সিএসইউ)। 

রাজধানী বার্লিনে বুধবার দুই পক্ষ থেকেই জোটের গঠনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। সিডিইউর দলনেতা ফ্রেডরিখ মেৎস, সিএসইউর দলনেতা মার্কোস স্যোডার ও এসপিডির রাজনীতিবিদ সাসকিয়া এসকেন ও ক্লিংবাইল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জোটের ঘোষণার সময় দেওয়া বক্তৃতায় ফ্রেডরিখ মেৎস বলেন, ‘জোট সরকার আমাদের দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জার্মানির নতুন সরকারের জোটে কোন কোন দল থাকছে, সে বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় কারা জার্মানির, অর্থাৎ ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশটির নেতৃ্ত্বে আসছেন, তা অনেক বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে সর্বাধিক প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট নিয়ে চালকের আসনে রয়েছে সিডিউই-সিএসইউ। সেই হিসেবে ফ্রেডরিখ মেৎ হতে যাচ্ছেন জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর।

তার আগে জোটে মতানৈক্যের জেরে ভেঙে পড়েছিল এসপিডির নেতৃত্বাধীন ওলাফ শোলজের সরকার।

সংবাদমাদ্যমের খবরে বলা হয়, জোট গঠনের আলোচনায় মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। জানা গেছে, দুই দলই সরকারের সরকারি ঋণ নিয়ে, জার্মান ভাষায় শুলডেনব্রেমজে, কঠোর সাংবিধানিক নীতি তৈরিতে একমত হয়েছে। এই নিয়মে পরিবর্তন আনা গেলে জার্মান সরকার প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়াতে পারবে।

সেই সঙ্গে এই অবকাঠামো ও পরিবেশ সুরক্ষা খাতে ৫০০ বিলিয়ন ইউরোর একটি প্যাকেজ তৈরি করতে পারবে সরকার। 

ফ্রেডরিখ মেৎস বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি শক্তিশালী পরিকল্পনা রয়েছে, যেটি নিয়ে আমরা আমাদের দেশকে যৌথভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জোটের এই চুক্তি দেশের নাগরিকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা। এটি ইউরোপীয় মিত্রদের কাছেও একটি চিহ্ন। পদক্ষেপ নেওয়ার মতো একটি সরকার পেতে যাচ্ছে জার্মানি।

এদিকে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নতুন সরকারে মোট আটটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারে এসপিডি। সিডিইউ ছয়টি ও সিএসইউ তিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারে। চ্যান্সেলর হিসেবে সামনে থেকে নেত্বৃত্ব দেবেন সিডিইউর ফ্রেডরিখ মেৎস।

মন্তব্য

ব্রিটেনে প্রথম ইউনিভার্সাল থিম পার্ক তৈরির ঘোষণা

    কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে বিপুল প্রভাবের আশা
স্কাই নিউজ
স্কাই নিউজ
শেয়ার
ব্রিটেনে প্রথম ইউনিভার্সাল থিম পার্ক তৈরির ঘোষণা
শিল্পীর আঁকা চিত্রকর্মে থিম পার্ক ও রিসোর্ট কেমন দেখাবে তার ধারণা। ছবি : ইউনিভার্সাল

যুক্তরাজ্যের বেডফোর্ডশায়ারে ইউরোপের প্রথম ইউনিভার্সাল ব্র্যান্ডের থিম পার্ক ও রিসোর্ট নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার একে ‘ঐতিহাসিক’ দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। স্কাই নিউজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৩১ সালে পার্কটি চালু হলে এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাশাপাশি এটি হবে ইউরোপের প্রথম ইউনিভার্সাল ব্র্যান্ডের থিম পার্ক ও রিসোর্ট।

সরকার জানিয়েছে, এটি ব্রিটিশ অর্থনীতিতে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি পাউন্ড যুক্ত করবে। এ ছাড়া এটি প্রায় ২৮ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, যার মধ্যে নির্মাণ পর্বে ২০ হাজার ও চালু হওয়ার পর আতিথেয়তা ও সৃজনশীল খাতে আরো আট হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে। পুরনো একটি ইটভাটার জায়গায় গড়ে ওঠা এই প্রকল্পে ৫০০ কক্ষবিশিষ্ট হোটেল এবং খুচরা পণ্যের দোকান ও বিনোদনকেন্দ্রও থাকবে।

বেডফোর্ডশায়ারে এদিন এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘এ বিনিয়োগ ব্রিটিশ অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আনবে এবং স্থানীয় জনগণের জন্য হাজারো কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই কর্মসংস্থান যেন প্রয়োজনমাফিক মানুষের হাতে যায়, যা ব্রিটেনকে কাজের জায়গায় পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ।’

তবে এই প্রকল্পে সরকার কত পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি। চ্যান্সেলর র‍্যাচেল রিভস জানান, ‘আর্থিক বিষয়াদি গোপনীয়।

স্কাই নিউজের মার্কিন মূল কম্পানি কমকাস্টের মালিকানাধীন ইউনিভার্সাল জানিয়েছে, বেডফোর্ড শহরের দক্ষিণে ৪৭৬ একরজুড়ে গড়ে ওঠা এই পার্ক ২০৫৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে পাঁচ হাজার কোটি পাউন্ড অবদান রাখবে এবং চালুর প্রথম বছরেই সাড়ে আট মিলিয়ন দর্শনার্থী আকর্ষণ করবে বলে তারা আশা করছে। তবে এই প্রকল্প এখনো হাউজিং, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ইউনিভার্সাল স্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করে আতিথেয়তা (হসপিটালিটি) খাতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউনিভার্সালের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘উইকেড’, ‘মিনিয়ন্স’, ‘ওপেনহেইমার’, ‘ব্রিজেট জোনস’, ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ ও ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’। এ ছাড়া বর্তমানে ইউনিভার্সালের পাঁচটি থিম পার্ক রয়েছে—ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো, হলিউড, জাপান, বেইজিং ও সিঙ্গাপুরে।

স্কাই নিউজ ব্রেকফাস্টে উইলফ্রেড ফ্রস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংস্কৃতিমন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি এই প্রকল্পকে ‘বৃহৎ চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণা এমন এক সময় এলো, যখন বৈশ্বিক অর্থবাজার এক অস্থির সময় পার করছে—এমনটা মানুষের জীবদ্দশায় খুব কমই দেখা গেছে।’

এ ছাড়া সরকার বলেছে, এই থিম পার্কের কর্মীদের প্রায় ৮০ শতাংশ স্থানীয়দের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং এটি অক্সফোর্ড-ক্যামব্রিজ করিডরকে সমর্থন দেবে, যা জানুয়ারিতে চ্যান্সেলর পুনরুজ্জীবিত করেন। পাশাপাশি সরকার থিম পার্কটির আশপাশের অবকাঠামোয় ‘বৃহৎ বিনিয়োগের’ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। যাতে এটি সহজে সংযুক্ত ও প্রবেশযোগ্য হয়।

ঘোষণাটি এসেছে এমন এক সময়, যখন সরকার সম্প্রতি নিকটবর্তী লুটন বিমানবন্দরের সম্প্রসারণে অনুমোদন দিয়েছে। কমকাস্ট করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট মাইক ক্যাভানাহ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রে এই অবিশ্বাস্য ইউনিভার্সাল থিম পার্ক ও রিসোর্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনায় আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এটি আমাদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পার্ক ব্যবসাকে শক্তিশালী করে ইউরোপে আমাদের অবস্থান সম্প্রসারিত করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, চ্যান্সেলর র‍্যাচেল রিভস, বিনিয়োগমন্ত্রী পপি গুস্তাফসন, সংস্কৃতিমন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি ও তাদের টিমের নেতৃত্ব ও সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ—আমরা একসঙ্গে মিলে একটি অসাধারণ গন্তব্য তৈরি করতে যাচ্ছি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ