ঢাকা, বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ শাবান ১৪৪৬

অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল পাকিস্তান
ছবিসূত্র : এএফপি

বিভিন্ন দেশের কড়া সমালোচনার পর অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালের মানবপাচার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। 

এরই মধ্যে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন সংশোধনের লক্ষ্যে নতুন একটি ধারা যোগ করে মানবপাচার প্রতিরোধ (সংশোধন) বিল-২০২৪-এর ধারা ৩-এ ‘সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি’ শব্দটি যুক্ত করার প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌদি আরবসহ পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন দেশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হজ, ওমরাহ এবং অন্যান্য ধর্মীয় তীর্থযাত্রার জন্য দেশগুলোতে আসা হাজার হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষাবৃত্তি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনগুলো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী বিলটিও একই বিষয় তুলে ধরে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে।

আরো পড়ুন
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু

 

বিলটিতে বলা হয়েছে, ‘এই অনুশীলনে জড়িত এজেন্ট এবং গ্যাংগুলো সহজেই মামলা এড়াতে পারে কারণ, ফেডারেল তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) এর ওপর ন্যস্ত কোনো আইনে ভিক্ষাবৃত্তি অপরাধ নয়। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার জরুরি প্রয়োজন।

’ 

সৌদি আরবে হাজার হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে বাধ্য হয়েছে। সৌদি সরকার পাকিস্তানের ভিক্ষুক, অসুস্থ ব্যক্তি বা দক্ষতাহীন ব্যক্তিদের না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান সম্প্রতি প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ভিক্ষুককে নো-ফ্লাই তালিকায় রেখেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি সরকার।

সূত্র : জিও নিউজ

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আইসিসির পরোয়ানা সত্ত্বেও নেতানিয়াহুকে জার্মানিতে আমন্ত্রণ মেৎসের

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
আইসিসির পরোয়ানা সত্ত্বেও নেতানিয়াহুকে জার্মানিতে আমন্ত্রণ মেৎসের
ফ্রেডরিখ মেৎস। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

রক্ষণশীল দল সিডিইউ নেতা এবং জার্মান নির্বাচনে বিজয়ী ফ্রেডরিখ মেৎস ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জার্মানিতে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে চান বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি এই নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলরের সঙ্গে তার ‘উষ্ণ কথোপকথন’ হয়েছে। ফ্রেডরিখ মেৎসের সাফল্যের জন্য নেতানিয়াহু অভিনন্দন জানিয়েছেন।

 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সম্ভাব্য চ্যান্সেলর  ফ্রেডরিখ মেৎস কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রীকে (নেতানিয়াহু) ধন্যবাদ জানান এবং জানান যে, তিনি তাকে জার্মানিতে একটি সরকারি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন, যা প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ঘোষণা করার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কলঙ্কজনক সিদ্ধান্তের স্পষ্ট বিরোধিতা।’

সিডিইউ দলের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং ডিপিএকে নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচনের পরে দুইজনের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। তবে কথোপকথনের সারমর্ম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

দুই সপ্তাহ আগে ফ্রেডরিখ মেৎস  জার্মান-ইহুদি সংবাদপত্র জুডিশে আলগেমাইনকে বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়লাভের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানাবেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমার নেতৃত্বে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নির্বিঘ্নে জার্মানি ভ্রমণ করতে পারবেন।’

মন্তব্য

ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্প-ম্যাখোঁর বৈঠক, দুই নেতার রয়েছে মতপার্থক্য

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্প-ম্যাখোঁর বৈঠক, দুই নেতার রয়েছে মতপার্থক্য
প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ (বাঁয়ে) ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (ডানে)। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনে যেকোনো শান্তি চুক্তি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়েই হতে হবে। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দুই নেতার বৈঠক হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ আরো বলেন, ‘এই শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হওয়া উচিত নয়, এর অর্থ গ্যারান্টি ছাড়া যুদ্ধবিরতি হওয়া উচিত নয়।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি লঙ্ঘন করেছেন।’ ইউক্রেনে যেকোনো শান্তি চুক্তি করতে ‘নিরাপত্তার নিশ্চয়তা’ থাকতে হবে। 

তবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার কথা উল্লেখ না করেই ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করার খরচ এবং বোঝা কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়, ইউরোপীয় দেশগুলোকেও দিতে হবে।

জবাবে ম্যাখোঁ বলেন, ইউরোপ ‘নিরাপত্তার বোঝা আরো ন্যায্যভাবে ভাগ করার’ প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। রাশিয়ার আক্রমণের তৃতীয় বার্ষিকীতে আলোচনা আরো এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবারজুড়ে এই দুই নেতা উষ্ণ বাক্য বিনিময় করলেও, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এবং সংবাদ সম্মেলন করার সময় ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে কিছু স্পষ্ট পার্থক্য ফুটে। যেকোনো শান্তি চুক্তিতে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ছিল পার্থক্যের ক্ষেত্র, যেমন যুদ্ধ শেষ করার পর সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি চান। তিনি আরো বলেন, একবার একমত হলে তিনি রাশিয়া সফরে যাবেন এবং রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে, ম্যাখোঁ যুদ্ধবিরতি এবং তারপরে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির বিষয়ে আরো বিচক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদী ইউক্রেনকে রক্ষা করার নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত শান্তি চাই, কিন্তু আমরা এমন কোনো চুক্তি চাই না, যা দুর্বল।

’ তবে দুই নেতা একমত হয়েছেন যে, যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। যা রাশিয়া সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

ম্যাখোঁ ওভাল অফিসে বলেন, তারা সামনের সারিতে থাকবে না। তারা কোনো সংঘাতের অংশ হবে না। শান্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিশ্চিত করার জন্য তারা সেখানে থাকবে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তা মেনে নেবেন। আমি বিশেষভাবে তাকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেছি। এতে তার কোনো সমস্যা নেই।’

ট্রাম্প এক মাস আগে ক্ষমতায় ফেরার পর ম্যাখোঁ হলেন প্রথম ইউরোপীয় নেতা, যিনি ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করলেন। ম্যাখোঁর দাবি, এই আলোচনা একটি ঐক্যবদ্ধ নীতির প্রচেষ্টায় ‘মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’ ইউক্রেনের প্রতি ট্রাম্পের কঠোর মনোভাব এবং যুদ্ধ নিয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগের মাঝে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমারও এই সপ্তাহের পরের দিকে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন।

সূত্র: বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পেন্টাগন প্রধানের সঙ্গে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পেন্টাগন প্রধানের সঙ্গে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান (বাঁয়ে) ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ (ডানে)। ছবি: এএফপি

ওয়াশিংটনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার পিট হেগসেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রিন্স খালিদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি সরকারি সফরে আছেন। এই সফরের লক্ষ্য মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক জোরদার করা।

তারা সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে প্রিন্স খালিদ লিখেছেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

সৌদি মন্ত্রী আরো লিখেছেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেছি।’

সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রিন্স খালিদের সরকারি সফরের উদ্দেশ্য ছিল ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা।

পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা।

বৈঠকের আগে হেগসেথকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ইরানের আক্রমণ থেকে সৌদি আরবকে রক্ষা করতে আমেরিকা সাহায্য করবে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি। ইরান এই অঞ্চলে একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

সৌদি আরব একটি ভালো অংশীদার।’

কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, প্রিন্স খালিদের হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে দিনের শেষের দিকে দেখা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া 

মন্তব্য

যুক্তরাজ্যের শতাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাজ্যের শতাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা
প্রতীকী ছবি : চ্যাটজিপিটি দিয়ে তৈরি

যুক্তরাজ্য সোমবার ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধকে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে শতাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই সংঘাত শুরুর তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে এ ঘোষণা এলো।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আক্রমণের প্রাথমিক দিনের পর থেকে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজটি ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী, তৃতীয় দেশগুলোর সংস্থাগুলো, যারা এটিকে (যুদ্ধ) সমর্থন করছে এবং সেই ভঙ্গুর সরবরাহ নেটওয়ার্কগুলোকে লক্ষ্য করবে, যার ওপর এটি (যুদ্ধ) নির্ভরশীল।’

যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ এমন সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ও তাদের ইউরোপীয় সমর্থকদের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে পুতিন সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত এক হাজার ৯০০ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

আরো পড়ুন
এক সপ্তাহে যেভাবে বিশ্বরাজনীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প-পুতিন

এক সপ্তাহে যেভাবে বিশ্বরাজনীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প-পুতিন

 

নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের আওতায় তৃতীয় দেশগুলোর সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের লক্ষ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মধ্য এশীয় দেশগুলো, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ভারত ও চীন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নো কওয়াং চোল এবং অন্যান্য জেনারেল ও শীর্ষ কর্মকর্তারা, যাদের ১১ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের জন্য ‘সহযোগী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ‘প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি জোরদার করছে। প্রতিটি সামরিক সরবরাহ লাইন ব্যাহত করা, প্রতিটি রুবল আটকে দেওয়া এবং পুতিনের আগ্রাসনকে সহায়তাকারীদের উন্মোচিত করা ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির দিকে একটি পদক্ষেপ।’

যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো নতুন ক্ষমতা ব্যবহার করে যুদ্ধকে সমর্থনকারী বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে কিরগিজস্তানভিত্তিক ওজেএসসি কেরেমেত ব্যাংকও রয়েছে।

এ ছাড়া ‘নতুন’ করে ১৪ জন ক্লেপটোক্র্যাটকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি রোমান ট্রোটসেংকো।

আরো পড়ুন
কাল সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ‘ফলোআপ বৈঠক’

কাল সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ‘ফলোআপ বৈঠক’

 

পাশাপাশি রাশিয়ার কথিত ‘ছায়া নৌবহর’কেও আরো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। ৪০টি জাহাজকে নতুন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৩টিতে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেছেন, রাশিয়া শত শত জাহাজ নিয়ে একটি বড় ‘ছায়া নৌবহর’ পরিচালনা করছে, যাতে পশ্চিমাদেশগুলোর তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যায়।

এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন।

এই বৈঠকের লক্ষ্য হলো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ‘সেতুবন্ধ’ তৈরি করা, যাতে যুদ্ধের সমাপ্তি চুক্তির ক্ষেত্রে কিয়েভের জন্য আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা যায়।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক প্রকাশ্য বিরোধের প্রেক্ষাপটে এই কাজ আরো চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘একজন স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে ‘সাফল্যমূলক আলোচনা’র কথা বলেছেন।

ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইউক্রেন কোনো অসম চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়, তবে তা পুতিনের বিজয়ের দাবি নিশ্চিত করবে এবং সমগ্র ইউরোপকে এক শক্তিশালী মস্কোর মুখোমুখি করে দেবে।

সূত্র : এএফপি

আরো পড়ুন
কুরস্কের বাসিন্দাদের উদ্ধারে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে : রাশিয়া

কুরস্কের বাসিন্দাদের উদ্ধারে ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে : রাশিয়া

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ