ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধানোর সঙ্গে জড়িত আতেফ নাজিব আটক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধানোর সঙ্গে জড়িত আতেফ নাজিব আটক
ছবিসূত্র : এএফপি

দারা শহরের সাবেক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান আতেফ নাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এই তথ্য জানিয়েছে। সানা জানিয়েছে, ২০১১ সালের বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর বিক্ষোভ দমনে জড়িত থাকা সিরিয়ার সাবেক নেতা বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাইকে সিরিয়ার অভ্যন্তরে আটক করা হয়েছে।

আতেফ নাজিবকে আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি লাতাকিয়া অঞ্চলে আটক করা হয়।

যেখানে সাবেক সরকারের কিছু অনুগতরা আশ্রয় নিয়েছিল। গত বছর দেশজুড়ে বিদ্রোহীরা ছড়িয়ে পড়লে আসাদ এবং তার পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যান।

সিরিয়ার নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, পরবর্তী সরকার ‘সিরীয়দের রক্তপাতকারী এবং আমাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও অপরাধ সংঘটিত অপরাধীদের তাড়া করবে, তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক দেশে বা বিদেশে। এর পরেই তাকে আটক করা হলো।

২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ দমনে তার ভূমিকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাজিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আসাদের বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার পরেই তা বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

ব

নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান আতেফ নাজিব। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

সেই বছরের বসন্তে ডেরা শহরে দেয়ালে শাসনবিরোধী গ্রাফিতি লেখার জন্য একদল শিশুকে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের পর আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

সেই সময় স্থানীয় লোকজনের মতে, শিশুদের নখ কেটে ফেলা হয়েছিল। তারা আরব বসন্ত থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল, মিসর এবং তিউনিসিয়াসহ এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

নাজিব তখন ডেরায় সরকারের রাজনৈতিক নিরাপত্তা শাখার প্রধান ছিলেন। শিশুদের বাবা-মা এবং বিশিষ্ট স্থানীয় প্রতিনিধিরা নাজিবের কাছে ওই শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। জাবলেহে শহরে জন্মগ্রহণকারী আতেফ নাজিব অত্যন্ত নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

আলিয়া মালেক একজন আমেরিকান সাংবাদিক এবং আইনজীবী। মালেক ১৯৭৪ সালে মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা সিরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। 

আলিয়া মালেক তার ‘দ্য হোম দ্যাট ওয়াজ আওয়ার কান্ট্রি’ বইয়ে লিখেছেন, ‘তাদের বলা হয়েছিল, তোমাদের সন্তানদের ভুলে যাও। যদি তোমরা সন্তান চাও, তাহলে আরো সন্তান জন্ম দাও। যদি তুমি না জানো কীভাবে, তাহলে আমাদের কাছে তোমার নারীদের নিয়ে এসো। আমরা তোমার জন্য সন্তান তৈরি করে দেব।’ ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি সিরিয়ার দামেস্কে থাকতেন। তার স্মৃতিকথা ‘দ্য হোম দ্যাট ওয়াজ আওয়ার কান্ট্রি’ বইটি এই সময়ের ওপর ভিত্তি করে লেখা।

ওই ঘটনায় অবশেষে শিশুদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেনাবাহিনী পরবর্তীতে দেরায় আক্রমণ শুরু করে এবং বিক্ষোভ দ্রুত সিরিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

লাতাকিয়ার নতুন নিরাপত্তা অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফা কানাইফাতি শুক্রবার বলেছেন, ‘নাজিবকে সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারীদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, সিরিয়ায় আসাদ রাজবংশের স্বৈরাচারী শাসন কয়েক দশক ধরে লড়াই, রক্তপাত এবং নিপীড়নমূলক রাজনৈতিক দমন-পীড়ন হিসেবে চিহ্নিত। যুদ্ধের সকল পক্ষই বেআইনি আক্রমণ চালিয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আল-শারার সশস্ত্র গোষ্ঠী ডিসেম্বরে সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দখল করে নেয় এবং আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য জোট বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি এখন নাগরিক শান্তি অর্জনের আশা করছেন। জাতিসংঘের মতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা নৃশংস গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। দেশটিতে গৃহযুদ্ধে ৩ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৬০ লাখের বেশি সিরিয়ান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।

সূত্র : সিএনএন

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
সংগৃহীত ছবি

ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ডের (সিবিআইসি) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত সরকার স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে।

ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

এর আগে ভারতের রপ্তানিকারকরা, বিশেষ করে পোশাক খাতের প্রতিবেশী বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের জন্য এটি বড় ধরনের ধাক্কা বলে দাবি ভারতীয়পক্ষের। কারণ ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানি সহজ ও সাশ্রয়ী ছিল।

গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, এ‘ই পদক্ষেপের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়ে সহায়তা করে এসেছে। তবে এই সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে যে অর্থনৈতিক সুবিধা কখনো জাতীয় নিরাপত্তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।’ 

ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ২০-৩০ ট্রাক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। এই ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের প্রভাব শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

ভুটান ও নেপাল, যারা ভারতের ওপর বাণিজ্যিকভাবে নির্ভরশীল, তারাও নতুন সংকটের মুখোমুখি হবে।

মন্তব্য

ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভে সহিংসতা, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভে সহিংসতা, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
ছবিসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ভারতে সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে নানা শহরে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বুধবার বিক্ষোভ থেকে আবারও সহিংসতার পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবারও ওই জেলার রঘুনাথপুরে সহিংসতা ঘটেছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত চলা ওই সহিংসতায় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ভাঙচুর চালানো হয় কিছু আবাসিক ভবন ও দোকানে।

মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সুতির অজগরপাড়া এলাকায় বুধবার সকালে ১২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয়।

অবরোধের ফলে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসময় বিক্ষোকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তারপরেই জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বিক্ষোভ থেকে।
পুলিশ একাধিক কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্ট উত্তপ্ত তর্কবিতর্কের পর মুসলিম ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাস হয় এবং ৫ই এপ্রিল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলটিতে সম্মতি দেওয়ায় এটি এখন ভারতের একটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করে অন্তত চারটি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয় যেগুলো করেছেন এআইএমআইএম, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি বা আরজেডি-র মতো দলের নেতারা এবং অন্তত একটি সিভিল রাইটস গোষ্ঠী। এ ছাড়া মণিপুর, গুজরাত, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উসকানিকে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের নানা জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওমরপুর মোড় থেকে ধুলিয়ান বাজার পর্যন্ত ১২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের নানা জায়গায় অবরোধ করেন মুসলিম ছাত্র ও যুব সংগঠনের বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ সেখানে গেলেই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পর্যন্ত পুলিশ ওই এলাকার নানা রাস্তায় লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাড়া করে।

এরপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ভুয়া খবর বা গুজব যাতে না ছড়ায় তার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১১ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এক বিবৃতিতে মঙ্গলবারের ঘটনার নিন্দা করে জানিয়ে বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যে কোনো প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা উচিত। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি পুলিশের লাঠি চালানোর নিন্দা করেছেন।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

আমেরিকা না ছাড়লে অবৈধ অভিবাসীদের দৈনিক ৯৯৮ ডলার জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমেরিকা না ছাড়লে অবৈধ অভিবাসীদের দৈনিক ৯৯৮ ডলার জরিমানা
ছবিসূত্র : এএফপি

ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাসন আদেশের পরও অবৈধ অভিবাসীদের কেউ আমেরিকায় থাকলে প্রতিদিন তাকে ৯৯৮ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জরিমানার অর্থ না দিলে বাজেয়াপ্ত করা হবে সম্পত্তি। নথি বিশ্লেষণের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদেন জানানো হয়েছে।

১৯৯৬ সালের একটি আইনে এই জরিমানার বিধান আছে।

২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রথমবারের মতো কার্যকর করা হয়েছিল এ আইন। ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচ বছর পর্যন্ত জরিমানা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে, যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে। যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি জরিমানা হতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচ বছর পর্যন্ত জরিমানা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে, যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে।

রয়টার্স কর্তৃক পর্যালোচনা করা সরকারি ইমেল অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন জরিমানা পরিশোধ না করা অভিবাসীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথাও বিবেচনা করছে।

রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের ‘স্ব-নির্বাসন এবং এখনই দেশ ত্যাগ করতে’ সিবিপি ওয়ান নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। এর মধ্যে রয়েছে, চূড়ান্ত নির্বাসন আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করা প্রতিটি দিনের জন্য প্রতিদিন ৯৯৮ ডলার জরিমানার মুখোমুখি হবেন।

রয়টার্সের পর্যালোচনা করা ইমেলগুলো থেকে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউস মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষাকে জরিমানা, অর্থ প্রদান না করা অভিবাসীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং তাদের সম্পদ বিক্রির বিষয়টি পরিচালনা করার জন্য চাপ দিয়েছে।
একটি ইমেল আরো বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের জন্য আরেকটি বিকল্প হতে পারে নাগরিক সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ। 

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্যাপকভাবে অভিবাসন দমন শুরু করেন। প্রায় ১৪ লাখ অভিবাসীকে উদ্দেশ করে পরিকল্পিত জরিমানার প্রস্তাব আনা হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

চীনে নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২০

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২০
ছবিসূত্র : এএফপি

উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশের একটি নার্সিংহোমে আগুন লেগে ২০ জন নিহত হয়েছেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বুধবার জানিয়েছে এ খবর জানিয়েছে।  

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) উত্তর-পূর্বে লংহুয়া কাউন্টির একটি নার্সিংহোমে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। সিনহুয়া জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৩ টা নাগাদ বিশ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘নার্সিংহোমে থাকা অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের আরো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ আগুন লাগার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

কাউন্টি সরকার জানিয়েছে, নার্সিংহোমে আগুন লাগার জন্য দায়ি একজন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। ভবন নির্মাণের নিয়মে শিথিলতা এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রায়ই আবহেলার কারণে চীনে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড তুলনামূলকভাবে সাধারণ।

গত জানুয়ারিতে বেইজিংয়ের উত্তর-পশ্চিমে ঝাংজিয়াকো শহরের একটি সবজির বাজারে আগুন লেগে আটজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। এর এক মাস আগে গত বছর পূর্ব চীনের রংচেং শহরে একটি নির্মাণস্থলে আগুন লেগে নয়জন মারা যান।

সূত্র : এএফপি
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ