ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

প্রতিভা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন জো বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিভা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন জো বাইডেন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি : এএফপি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক প্রতিভা ব্যবস্থাপনা সংস্থা ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টস এজেন্সির (সিএএ) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এটি তার পরবর্তী কর্মজীবন গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।  

এই চুক্তির মাধ্যমে তিনি সিএএতে ফিরে গেলেন, যা ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তার প্রতিনিধিত্ব করেছিল। এজেন্সির সহসভাপতি রিচার্ড লাভেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘(সাবেক) প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতীয় ও বৈশ্বিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর।

’  

তিনি আরো বলেন, ‘জনসেবার প্রতি তার আজীবন প্রতিশ্রুতি ঐক্য, আশাবাদ, মর্যাদা ও সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমরা তার সঙ্গে পুনরায় অংশীদার হতে পেরে গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি।’

এই প্রতিভা ব্যবস্থাপনা সংস্থার সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামারও সম্পৃক্ততা রয়েছে।  

৮২ বছর বয়সী বাইডেন তার পাঁচ দশকের সরকারি জীবনের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।

তবে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় তিনি সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘আমরা অফিস ছেড়ে যাচ্ছি, কিন্তু লড়াই ছেড়ে যাচ্ছি না।’

ক্ষমতা ছাড়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও নতুন কোনো বই বা প্রকল্প নিয়ে তার কোনো ঘোষণা আসেনি।  

এর আগে সিএএর সঙ্গে থাকাকালীন ২০১৭ সালে তিনি তার আত্মজীবনীমূলক ‘গ্রন্থ প্রমিজ মি, ড্যাড : আ ইয়ার অব হোপ, হার্ডশিপ, অ্যান্ড পারপাস’ প্রকাশ করেন। বইটি তার বড় ছেলে বো বাইডেনের মৃত্যু ও সেই সময়কার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা, যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে এবং আমেরিকান প্রমিজ বই ভ্রমণ আয়োজনের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।

অনেকেই এই ভ্রমণকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থিতার প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখেছেন।

বাইডেন বর্তমানে তুলনামূলকভাবে কম প্রকাশ্যে আসছেন। তবে তাকে ডেলাওয়ারে নিজ বাড়ির আশপাশে দেখা গেছে এবং তিনি তার সাবেক সহকারী ও সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সম্প্রতি তিনি তার নাতনি নাওমির সন্তানের জন্মের মাধ্যমে প্রপিতামহ হয়েছেন।  

সিএএ সাধারণত চলচ্চিত্র তারকা ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে কাজ করলেও রাজনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গেও তাদের অংশীদারি নতুন কিছু নয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা ও মিশেল ওবামার এজেন্সিটির সঙ্গে চুক্তির ফলে তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হায়ার গ্রাউন্ড থেকে একাধিক পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শো নির্মিত হয়েছে, যার মধ্যে আমেরিকান ফ্যাক্টরি নামের অস্কারজয়ী প্রামাণ্যচিত্রও রয়েছে।  

এ ছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও তার বই প্রকাশনার জন্য সিএএর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। তার হার্ড চয়েসেস বইটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে তার সময়কালের ওপর ভিত্তি করে লেখা।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ
সংগৃহীত ছবি

প্রথমবারের মতো ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছেন দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান। আজ মঙ্গলবার তিনি ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিনের এই সফর শেষ হবে ৯ এপ্রিল।

প্রথমদিনই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুবরাজ হামদান। 

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন যুবরাজ। এ ছাড়া আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের।

 

খালিজ টাইমস জানায়, দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ভারতে পৌঁছানোর পর দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। তার সম্মানে বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও করা হয়।

মন্তব্য

জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন স্থগিত করেছে জার্মানি

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন স্থগিত করেছে জার্মানি
সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘের শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় নতুন করে কোনো শরণার্থীকে আপাতত গ্রহণ করবে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ জার্মানি।

জাতিসংঘের পুনর্বাসন কর্মসূচিটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জার্মান সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ।

স্থগিতাদেশের কারণ জানতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ইউএনএইচসিআরের প্রতিক্রিয়াও জানার চেষ্টা করছে রয়টার্স।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। এর আগে অভিবাসন ছিল দেশটির রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

তারও আগে জার্মানিতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সহিংস হামলার সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নাম। এর জের ধরে ভোটের মাঠে ভালো ফল করেছে অভিবাসনবিরোধী অতি-ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। সাধারণ নির্বাচনে ভোটের হিসাবে তাদের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।

ভোট শেষ হলেও অভিবাসন এখনো সমানভাবে আলোচিত।

ভোটের হিসাবে তৃতীয় স্থানে থাকা সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে জোট সরকার গঠনের আলোচনা করছে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ। সেখানেও অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিবেশী ৯টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ শুরু করে জার্মানি। এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই নিয়ন্ত্রণ জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির বিদায়ী সরকার। সিডিইউ/সিএসইউ চায়, নিরাপদ দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানির সীমান্ত থেকেই ফিরিয়ে দিতে।

এ নিয়েও চলছে বিতর্ক।

সরকার গঠনের আলোচনা চূড়ান্ত না হলেও এই দুটি রাজনৈতিক দল কোনো কোনো বিষয়ে একমত হয়েছে। তেমন একটি নথি দেখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেই নথি অনুযায়ী, নতুন করে কোনো ধরনের শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু না করতে সম্মত হয়েছে জার্মানি সম্ভাব্য সরকারের দুই শরিক দল। এ রকম যেসব কর্মসূচিগুলো জার্মানিতে চালু আছে, সেগুলোও যতটা সম্ভব বন্ধ করে দিতেও ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দল দুটির শীর্ষ নেতারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসাবে চলতি বছর ছয় হাজার ৫৬০ জন শরণার্থীকে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। এই কর্মসূচির আওতায় সাধারণত মিশর, জর্দান, কেনিয়া, লেবানন, পাকিস্তান, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থী বা রাষ্ট্রহীন মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়। আশ্রয় আবেদনের হিসেবে জার্মানি এখন আর ইইউর শীর্ষ দেশ নয়।

আশ্রয় আবেদন কমেছে জার্মানিতে

ইউরোপীয় ইউনিয়নে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জমা হওয়া আশ্রয় আবেদনের হিসাবেও জার্মানি এখন আর শীর্ষ দেশ নয়। বেশ কয়েক বছর পর এবার জার্মানিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে ফ্রান্স ও স্পেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গোপন নথির বরাত দিয়ে সোমবার (৭ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান দৈনিক ভেল্ট আম জনটাগ।

এতে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্স এবং স্পেনে আশ্রয় চেয়ে বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

ইইউ'র পরিসংখ্যান কার্যালয় ইউরোস্ট্যাটের ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যানেও তেমন আভাস মিলেছে। দেখা গেছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে ১২ হাজার ৭৭৫টি নতুন আশ্রয় আবেদন জমা হয়েছিল। সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৬৫টি আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্সে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯৭৫টি জমা হয়েছে স্পেনে।

৭ এপ্রিল জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (বিএএমএফ) জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে জমা হওয়া প্রথমবারের মতো আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ কমেছে। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে বরাবরের মতোই শীর্ষে রয়েছে সিরিয়া, আফগান ও তুরস্কের নাগরিকরা।

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে জার্মানিতে অন্তত ৪১ হাজার আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোর কোনো তথ্য তারা প্রকাশ করেনি।

বিএএমএফ বলছে, মার্চে ৯ হাজারেরও কম আবেদন জমা পড়েছে। বেশ কয়েক বছর পর এই সংখ্যাটি প্রথমবারের মতো ১০ হাজারের নিচে নেমেছে।

এমনকি গত বছরেও আশ্রয় আবেদনের হিসাবে শীর্ষে ছিল জার্মানি। ২০২৪ সালে দুই লাখ ৫০ হাজার ৬১৫টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছিল দেশটিতে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেনে জমা হয়েছিল এক লাখ ৬৬ হাজার ১৭৫টি আবেদন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে জমা হয়েছিল এক লাখ ৫৮ হাজার ৬০৫টি আবেদন।

মন্তব্য
মার্কিন শুল্ক

৫ বিমানবোঝাই আইফোন ভারত থেকে নিয়ে গেল অ্যাপল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫ বিমানবোঝাই আইফোন ভারত থেকে নিয়ে গেল অ্যাপল
ফাইল ছবি : এএফপি

বিদেশি পণ্যে শুল্ক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতিরিক্ত এই শুল্ক এড়াতে তড়িঘড়ি করে ভারত ও চীন থেকে বিমানবোঝাই আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে অ্যাপল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই মার্চের শেষ সপ্তাহে তিন দিনে ভারত থেকে পাঁচটি ফ্লাইটে আইফোন ও অন্যান্য প্রডাক্ট যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে অ্যাপল।

ভারতে কর্মরত অ্যাপলের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ট্রাম্পের ১০ শতাংশ ‘রিসিপ্রক্যাল ট্যারিফ’ এড়াতেই জরুরি ভিত্তিতে এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, শুধু ভারত থেকেই নয়, চীনের কারখানাগুলো থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ভিত্তিতে পণ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, শুল্ক এড়াতে ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশের কারখানাগুলো থেকে জরুরি ভিত্তিতে আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ঝক্কি সামাল দেওয়া যাবে। তাই এখনই আইফোনের মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

মন্তব্য

বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি : নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি : নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ
নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। ছবিসূত্র : এএফপি

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ ঠিক হয়নি। এটি এমন একটি জিনিস, যা আমেরিকার ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করবে এবং এমন সিদ্ধান্ত আমাদের নিরাপত্তা বাড়াতে কোনো ভূমিকা রাখবে না।’

সাক্ষাৎকারে ক্রুগম্যান বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশেও উৎপাদন করা প্রয়োজন, এতে সরবরাহব্যবস্থার ওপর ভরসা করা যায়। এই উভয় বিবেচনায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা ঠিক হয়নি।

বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে ক্রুগম্যান বলেন, সব দেশই কিছু পণ্য উৎপাদন করে, যে পণ্য অন্য দেশ তৈরি করে না, সেটা তারা আরেক দেশ থেকে আমদানি করে। কিন্তু প্রতিটি দেশের সঙ্গেই যে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, এর কোনো কথা নেই।

সব কিছুই হতে পারে। কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি থাকার অর্থ এই নয়, যে দেশের হাতে উদ্বৃত্ত আছে, সেই দেশ অন্যায্য বাণিজ্যনীতি অনুসরণ করছে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন এসব বিশ্বাস করে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ফলস্বরূপ, আমেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপকারী যেকোনো দেশের মতো বাংলাদেশি পণ্যের দাম এখন থেকে আমেরিকান বাজারে আরো বেশি হবে। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুসারে, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ৩৭শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আগে গড়ে ১৫শতাংশ শুল্ক ছিল, কিন্তু নতুন শুল্ক এখন দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ