প্রকৃতির সঙ্গে একটি গভীর আধ্যাত্মিক ও আবেগময় বন্ধন খুঁজে পেয়েছেন ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডিলটন। প্রকৃতি তাকে অশান্তির মাঝেও শান্তি দিয়েছে। ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর ধীরে ধীরে কাজে ফিরে আসার সময়, একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রকৃতির সঙ্গে তার এই বিশেষ বন্ধনের কথা জানান।
কেট বলেন, ‘এই ব্যস্ত জীবনে প্রকৃতি আমার জন্য এক ধরনের ভারসাম্য এনে দিয়েছে।
’ গত মাসে প্রিন্সেস অব ওয়েলস লেক ডিস্ট্রিক্টে গিয়েছিলেন। যেখানে নতুন চিফ স্কাউট ডোয়েন ফিল্ডস এবং কিছু তরুণ স্কাউটের সঙ্গে উইন্ডারমেয়ার লেকের পাড়ে তার দেখা হয়েছিল।
এই সফরটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও কেনসিংটন প্যালেসের একটি দল ভিডিও ধারণ করেছে। ভিডিওটি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাজকন্যা একটি বেকারবয় ক্যাপ, হাতের বোনা জাম্পার আর হাইকিং বুট পরে শিশুদের সঙ্গে হাঁটছেন বনের পথে। পাহাড়ের চূড়ায় দলবলসহ ছবিও তুলছেন—সবমিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে এক সাদামাটা আর সুন্দর মুহূর্ত কাটাচ্ছেন।
কেট বলেন, ‘প্রকৃতির সঙ্গে আমার এই সম্পর্ক খুবই আধ্যাত্মিক এবং আবেগপ্রবণ। হয়তো সবার এই অনুভূতি একরকম নয়, কিন্তু আমার জন্য প্রকৃতি হলো এক ধরনের শান্তির আশ্রয়—এই ব্যস্ত দুনিয়ায় মাঝে আমি নিজেকে আবার খুঁজে পাই।
’
রাজকন্যা সাধারণত তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস বা আধ্যাত্মিকতা নিয়ে খুব একটা কথা বলেন না। তবে, ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি জীবনের গভীর প্রশ্নগুলো নিয়ে আরো বেশি চিন্তা করছেন।
কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছে, প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো কিভাবে আমাদের নিজের সঙ্গে এবং অন্যদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে, সহনশীলতা এবং একাত্মবোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে, তা নিয়ে এই সফরে আলোচনা করেছেন কেট। তিনি এবং ডোয়েন ফিল্ডস একমত হয়েছেন যে, প্রকৃতির সংস্পর্শ তরুণদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়ক হয়।
গত বছর বিয়ার গ্রিলসের পর চিফ স্কাউট হয়েছেন ডোয়েন ফিল্ডস।
তিনি বলেন, ‘তরুণদের প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা খুব জরুরি। কারণ এখানে তারা নিজেদের চ্যালেঞ্জ করে, নেতৃত্ব দিতে শেখে, বন্ধুত্ব গড়ে এবং সারা জীবন মনে রাখার মতো স্মৃতি তৈরি করে। আমরা যদি তরুণদের প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত রাখতে পারি, তাহলে তারা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায়ও আগ্রহী হবে।’
তিনি আরো যোগ করেন, রাজকন্যা ক্যাথরিনের (কেট মিডিলটন) স্কাউটসের যৌথ সভাপতি হিসেবে থাকাটা এই সংগঠনের জন্য একটি বড় পাওয়া। (১৯৭৫ সাল থেকে এই দায়িত্বে রয়েছেন ডিউক অফ কেন্টও।)
এই দিনটির কথা বলতে গিয়ে ডোয়েন বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে স্ক্রিনের বাইরে কয়েক ঘণ্টা প্রকৃতির মধ্যে কাটানো একেবারে জাদুর মতো! আমরা প্রকৃতির মধ্যেই নিজেদের সেরা ভার্সন খুঁজে পাই। আরো বেশি তরুণ যেন এমন অভিজ্ঞতা পায়, সেটাই আমার ইচ্ছা।’
কেনসিংটন প্যালেস জানায়, এই ভিডিওটির উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির গুরুত্ব এবং এটি কিভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে—তা সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া।
সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ