<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন জেডি ভ্যান্স। নিজেকে ট্রাম্পবিরোধী হিসেবে পরিচয় দিতেন। আর তাঁকেই রানিং মেট বা নিজের পরবর্তী প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গত সোমবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এক সময়কার সমালোচককে ট্রাম্প কেন রানিং মেট মনোনীত করলেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৬ সালের ঘটনা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও টুইটারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন ভ্যান্স। এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি কখনোই ট্রাম্পের লোক নই। কখনোই তাঁকে পছন্দ করিনি। হায় ঈশ্বর, তিনি (ট্রাম্প) কতটা নির্বোধ। আমি তাঁকে নিন্দার যোগ্য মনে করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ওই সময় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিলবিলি ইলিজি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের স্মৃতিকথা প্রকাশ করে দেশজুড়ে খ্যাতি পান ভ্যান্স। একই বছর ট্রাম্পকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমেরিকার হিটলার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আখ্যা দেন তিনি। তবে কয়েক বছরের মধ্যে কট্টর সমালোচক থেকে ট্রাম্পের শুভাকাঙ্ক্ষীতে পরিণত হন এই তরুণ রাজনীতিক। ২০২২ সালে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। গত সোমবার ৩৯ বছর বয়সী ভ্যান্স ট্রাম্পের রানিং মেট হিসেবে লড়াইয়ের মনোনয়ন পান।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/07.July/17-07-2024/2/kalerkantho-dd-1a.jpg" height="257" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/07.July/17-07-2024/2/kalerkantho-dd-1a.jpg" style="float:left" width="300" />স্মৃতিকথায় খ্যাতি </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওহাইওর মিডলটাউনে জন্ম জেমস ডেভিড বওম্যান ভ্যান্স। মা ছিলেন মাদকাসক্ত, আর বাবা শৈশবেই তাঁকে পরিত্যাগ করেন। পরে নানা-নানির কাছে বড় হন ভ্যান্স। নিজের স্মৃতিকথায় বিষয়টি উল্লেখও করেন তিনি। ভ্যান্স ইউএস ম্যারিন সেনা হিসেবে ইরাকযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। দেশে ফিরে ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইয়েল ল স্কুলে পড়াশোনা করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif"">  </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিনিয়োগকারী থেকে রাজনীতিক </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৭ সালে ওহাইওতে ফিরে এসে বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন ভ্যান্স। ইয়েল ল স্কুলে পড়াশোনার সময় ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা চিলুকুরির সঙ্গে পরিচয়, সেখান থেকে বিয়ে। এই দম্পতির তিন সন্তান আছে। ২০২২ সালে ওহাইওর সিনেট নির্বাচনে না লড়ার ঘোষণা দেন রিপাবলিকান সিনেটর রব পোর্টম্যান। তখন তরুণ রাজনীতিক হিসেবে ভ্যান্সের নাম সামনে আসে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগান ভ্যান্স। ভোটের লড়াইয়ে জিতে বনে যান রিপাবলিকান সিনেটর। তবে ট্রাম্পের সমালোচনা করায় নির্বাচনী লড়াইয়ে বেশ ভুগতে হয়। পরে অবশ্য আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে ট্রাম্পের সমর্থন আদায় করেন। সমালোচকের তকমা ফেলে দিয়ে ট্রাম্পের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেন ভ্যান্স।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেন-গাজা নিয়ে অবস্থান </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভ্যান্স একজন নির্ভরযোগ্য রক্ষণশীল সিনেটর। জনতুষ্টিবাদী অর্থনৈতিকনীতিতে সমর্থন এবং ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার বিষয়ে সংশয়বাদীর ভূমিকা পালন করেন তিনি। গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা প্রত্যাহারে একটি বিল উত্থাপনে কাজ করেন ভ্যান্স। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কাজে নিয়োগ দেয়, সেগুলোর সহায়তা বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভ্যান্স কেন রানিং মেট </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ভোটের ফলাফলে প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টি ভালো করেই জানেন ট্রাম্প। তাই সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ভ্যান্সকে রানিং মেট বেছে নিয়েছেন। মূলত শ্বেতাঙ্গ কর্মজীবী শ্রেণির লোকজনের ভোট টানতেই তাঁকে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্যান্সের আদর্শিক মিল রয়েছে। একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান হিসেবে গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর নারীদের গর্ভপাতের বিপক্ষে ছিলেন ভ্যান্স। তবে সম্প্রতি গর্ভপাত ইস্যুতে ট্রাম্পের সুরে তিনি বলেন, গর্ভপাতের বিষয়টি অঙ্গরাজ্যগুলো সমাধান করবে। সূত্র : বিবিসি</span></span></span></span></p>