<p><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">লেবাননের</span> সশস্ত্র <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">গোষ্ঠী</span> হিজবুল্লাহ ও ইরান সমর্থিত ইমেয়েনি <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">হুতি</span> বিদ্রোহীদের প্রতি কড়া <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">হুঁশিয়ারি</span> উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">বেনিয়ামিন</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">নেতানিয়াহু।</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">হামাসের</span> সঙ্গে <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">প্রায়</span> বছরব্যাপী চলমান সংঘাতের মধ্যেই <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">এই</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">হুঁশিয়ারি</span> দিলেন তিনি।</p> <p> </p> <p><strong>হুতিদের হামলার দাঁতভাঙা জবাব <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">দেবে</span> ইসরায়েল</strong></p> <p>ইসরায়েলের তেল আবিবে হুতিদের প্রমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। গতকাল রবিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভূলভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছেন হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে। তবে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এ ধরনের আরো হামলা চালানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরান সমর্থিত সংগঠনটি। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর জন্য হুতিদের হামলার জন্য ভারি মূল্য দিতে হবে।</p> <p><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">দেশের</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">লেবানন</span> সীমান্তের প্রতি ইঙ্গিত <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">করে</span> মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক ওই <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">বৈঠকে</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">নেতানিয়াহু</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">আরো</span> বলেন, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি<span dir="RTL" lang="AR-YE" style="font-size:14.0pt"> ‘</span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">চলতে</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">দেওয়া</span> হবে <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">না।</span><span dir="RTL" lang="AR-YE" style="font-size:14.0pt">’ </span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">পাশাপাশি</span> উত্তরাঞ্চলে <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">যেসব</span> ইসরায়েলি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাঁদের নিজ বাসস্থানে ফিরিয়ে আনতে সম্ভব্য <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">সব</span> কিছু করা হবে বলেও <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">দৃঢ়</span> আশাবাদ ব্যক্ত <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">করেন</span> তিনি।</p> <p> </p> <p><strong>পাল্টা হুমকি হিজবুল্লাহর</strong></p> <p><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">লেবাননের</span> সঙ্গে <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">যুদ্ধের</span> ইঙ্গিত <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">দিয়ে</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">নেতানিয়াহু</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">বলেছেন</span>, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সঙ্গে<span dir="RTL" lang="AR-YE" style="font-size:14.0pt"> ‘</span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">বড়</span> ধরনের সংঘর্ষের’ <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">মুখোমুখি</span> হতে পারে। <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt">এদিকে</span> লেবাননের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে জড়ালে ‘উভয় পক্ষই বড় ধরনের ক্ষতির’ মুখোমুখি হবে বলে সতর্ক করেছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র সংগঠনটির উপপ্রধান নাঈম কাসেম এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেন, এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে শত শত মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।</p> <p>ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননের সঙ্গে দেশের উত্তর সীমান্তে ‘বিস্তৃত এবং বৃহত্তর’ অভিযানের ‘দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছেন বলে গত শনিবার এক ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। চ্যানেল ১৩-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহুর ধারণা, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠছে। যদিও কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব ছিল। যেটা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের প্রায় প্রতিদিনের সীমান্ত সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে পারত, তা অধরাই রয়ে গেছে। ওই সংবাদের জেরে এমন মন্তব্য করেন কাসেম। তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করলে উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলিদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যদি উত্তরাঞ্চলে তাদের নাগরিকদের ফেরাতে চায় তাহলে আগে গাজায় যুদ্ধ থামাতে হবে।</p> <p>তিনি আরো জানিয়েছেন, ইসরায়েল যত দিন গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে হিজবুল্লাহও তত দিন ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেছেন, ‘গাজা যুদ্ধ যত দিন চলবে লেবাননের সহায়তাও অব্যাহত থাকবে। আর এই সহায়তার তীব্রতা বেড়েছে কারণ ইসরায়েল আগ্রাসন বাড়িয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ না করা ছাড়া অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের (ইসরায়েলি) বাড়িতে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।’ সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা</p> <p> </p>