<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলাকে যুদ্ধের নতুন মোড় আখ্যা দিয়ে মস্কো বলেছে, তারা সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাবে। এর রেশ না কাটতেই গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি ব্রিটিশ সরকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার মস্কো জানিয়েছে, রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলের একটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। এর দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ স্থাপনায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমোদন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশ্য আগে থেকেই হামলার আশঙ্কা করেছিল রাশিয়া। এ কারণে গত মঙ্গলবার নিজেদের পরমাণুনীতিতে পরিবর্তন এনেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। শুধু তা-ই নয়, কোনো জোটের সদস্য যদি রাশিয়ায় হামলা চালায়, তাহলে পুরো জোটই এই হামলা চালিয়েছে বলে বিবেচনা করতে পারবে মস্কো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং রাশিয়ার পরমাণুনীতিতে পরিবর্তনের ফলে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দেওয়ায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা পুতিনের সমালোচনা করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রাজিলে জি২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ হামলার বিষয়ে বলেছেন, তারা যে যুদ্ধের সম্প্রসারণ চায়, এই হামলা তারই ইঙ্গিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কিয়েভকে ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনায় সহায়তা করার অভিযোগ তুলে লাভরভ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা এটিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের যুদ্ধের নতুন পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করছি এবং আমরা সেভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুতিনের স্বাক্ষরিত পরমাণুনীতিসংক্রান্ত নতুন ডিক্রিটি পশ্চিমাদের পড়ার আহবান জানিয়ে লাভরভ বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আশা করছি তারা (পশ্চিমা) সম্পূর্ণ ডিক্রিটি পড়বেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেনকে ল্যান্ডমাইন দেবে যুক্তরাষ্ট্র : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলমান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনকে নতুন করে ল্যান্ডমাইন সরবরাহে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রুশ বাহিনীর স্থল অভিযানের অগ্রগতি ধীর করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ল্যান্ডমাইনগুলো শিগগির সরবরাহ করা হবে এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ডে এগুলো ব্যবহার করা হবে বলে আশা করছে ওয়াশিংটন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বিশ্বনেতারা। ব্রাজিলের জি২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছেন, এটি একটি বড় ভুল, যা যুদ্ধ সম্প্রসারণে ইন্ধন দেবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তেজনা কমানোর আহবান জানিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সব পক্ষকে শান্ত ও সংযমী হওয়া উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন তহবিল কমলে পরাজয়ের শঙ্কা জেলেনস্কির : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেনের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ফক্স নিউজকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে সামরিক তহবিল কমিয়ে দিলে যুদ্ধে হেরে যাবে ইউক্রেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলেনস্কি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদি তারা (মার্কিন তহবিল) কমিয়ে দেয়, আমাদের শক্তি কমে যাবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি মনে করি আমরা হারব। আমরা লড়াই করব। আমাদের রসদ আছে কিন্তু তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিয়েভে কয়েকটি পশ্চিমা দূতাবাস বন্ধ : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্ভাব্য</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস জানায়, সতর্ক থাকার অংশ হিসেবে দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণার পর ইতালি ও গ্রিস তাদের কিয়েভ দূতাবাস সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাময়িক বন্ধ থাকার পর আবারও খুলেছে স্পেনের দূতাবাস। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার বড় ধরনের বিমান হামলার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে ইউক্রেন বলেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক তথ্যগত ও মনস্তাত্ত্বিক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। অনানুষ্ঠানিক তথ্য বিশ্বাস না করার আহবান জানানো হচ্ছে। সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি</span></span></span></span></span></p>