ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের ন্যাটোর সদস্যপদের বদলে তিনি প্রেসিডেন্সি ছাড়তে রাজি আছেন। গতকাল রবিবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে গত শনিবার রাতে সবচেয়ে বড় একক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের তিন বছর পূর্তির আগে এই হামলা চালানো হলো।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী কমান্ডের মুখপাত্র ইউরি ইগনাট বলেন, রাশিয়া এককভাবে রেকর্ড ২৬৭টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। প্রায় ১৩৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ১১৯টি ড্রোন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না করেই নিখোঁজ হয়ে গেছে।
অনেকগুলো ড্রোন প্রতিহত করা গেলেও বেশ কয়েকটি ড্রোনের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জরুরি পরিষেবা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার শুরু করার পর থেকে এটি ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সপ্তাহে ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে এক হাজার ১৫০টি ড্রোন, এক হাজার ৪০০টির বেশি আকাশ বোমা এবং বিভিন্ন ধরনের ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া।
তিনি আরো বলেন, ‘ইউক্রেনে স্থায়ী ও ন্যায়সংগত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। এটি সব অংশীদারের ঐক্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।
আমাদের পুরো ইউরোপ, আমেরিকা এবং যারা স্থায়ী শান্তি চায়—তাদের সবার শক্তি প্রয়োজন।’
শনিবারের ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিনজন হতাহত হয়েছেন। দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনে একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা।
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রিভি রি শহরে ড্রোন হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। জাপোরিঝিয়ায় ড্রোন হামলায় আহত এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কিয়েভের বেশ কিছু এলাকায় আগুন নেভানোর কাজ করেছে দমকলকর্মীরা।
ইউক্রেন জানিয়েছে, খারকিভ, পলতাভা, সুমি, কিয়েভ, চেরনিহিভ, মিকোলাইভ ও ওডেশাসহ অন্তত ১৩টি অঞ্চলে ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে মস্কো। সূত্র : বিবিসি