মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যাসেজিং গ্রুপ সিগন্যাল অ্যাপে ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁসের ঘটনাকে ‘ডাইনি শিকার’ বা সমাজের হুমকি হিসেবে বিবেচিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে এর জেরে ডেমোক্র্যাটরা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা পেন্টাগনপ্রধান পিট হেগসেথের পদত্যাগ দাবি করলেও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে গত বুধবার সাংবাদিকরা এই কেলেঙ্কারির জেরে হেগসেথের পদত্যাগ করা উচিত কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘হেগসেথ দারুণ কাজ করেছে। তার এই ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
এর মধ্যে আপনারা হেগসেথকে টানছেন কেন? দেখুন পুরো ব্যাপারটাই আসলে ডাইনি শিকারের বিষয়।’
এদিকে ভুল করে ম্যাসেজিং গ্রুপ সিগন্যাল অ্যাপে ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁসের দায় সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে নিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। ওই গ্রুপটিতে একজন সাংবাদিক যুক্ত থাকায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। ওই সাংবাদিককে গ্রুপ ওয়াল্টজ নিজেই যোগ করেন।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে ওয়াল্টজ বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি। আমিই এই গ্রুপটি তৈরি করেছি। বিষয়টি বিব্রতকর।’
অন্যদিকে মার্কিন সাময়িকী আটলান্টিকের সম্পাদক জেফ্রি গোল্ডবার্গ ভুলে ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁসের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার রোষানলে পড়েছেন।
কয়েক দিন ধরে জেফ্রি গোল্ডবার্গকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘হতভাগা’ ও ‘বস্তাপচা নোংরা’ বলে গালাগাল দিচ্ছেন। পাশাপাশি মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজও তাঁকে ‘মিথ্যাবাদী’ ও ‘নোংরা’ বলেছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনিই জেফ্রিকে ভুল করে একটি গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত করেছিলেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি