<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঁশি বা বাঁশরি হলো দক্ষিণ এশিয়ার এক ধরনের বাদ্যযন্ত্রবিশেষ, যা শুষির অর্থাৎ ফুৎকার (ফুঁ) দিয়ে বাজানো হয়। ইংরেজিতে এর নাম ফ্লুট (</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">Flute</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">)। বাংলায় মুরলি, বংশী বা বাঁশরি নামেও ডাকা হয়। লোকবাদ্যযন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বাঁশি। এটি প্রায় সব শ্রেণির মানুষই পছন্দ করে। কেউ বাজাতে, কেউ বা শুনতে। বাঁশি মূলত বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হলেও কেউ কেউ শখের বশে স্টিলের, তামার, পিতলের, রুপার এমনকি সোনার পাইপ দিয়েও বানিয়ে থাকে।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঁশিকে অনেক প্রাচীন হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন মন্দিরের চিত্র ও ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কৃষ্ণ ও রাধার প্রেমকাহিনির সঙ্গে বাঁশি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বংশী কৃষ্ণের পবিত্র অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী বাদ্যযন্ত্র হিসেবেও খ্যাত। লোকসংগীতের বিভিন্ন ধারা, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সারি, ভাওয়াইয়া, যাত্রা, কবিগানে অন্যান্য যন্ত্রের সঙ্গে বাঁশি বাজানো হয়। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে কৃষ্ণের মুরলি বা মোহনবাঁশিকে আড়বাঁশি বলা হয়েছে। কৃষ্ণ এই বাঁশির সুরেই রাধার চিত্ত হরণ করেছিলেন। </span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঁশি বানানো হয় সাধারণত মুলিবাঁশ দিয়ে। বাঁশি নানা রকমের স্কেলের হতে পারে। এই স্কেল বাঁশের দৈর্ঘ্য, ব্যাস ও ছিদ্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। গিঁটের কাছে যে গোল ছিদ্রটি করা হয়, তাকে বলে ফুঁৎকাররন্ধ্র। বাকি ছিদ্রগুলোকে বলে তারারন্ধ্র। ফুঁৎকাররন্ধ্রে মুখ রেখে আড়াআড়িভাবে বাঁশিটি ধরে অপর ছিদ্রগুলোতে দুই হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা দিয়ে বায়ু নিয়ন্ত্রণ করে বাঁশি বাজানো হয়। ধরন অনুযায়ী বাঁশির বিভিন্ন নাম রয়েছে, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আড়বাঁশি, কদবাঁশি, টিপরাবাঁশি, হরিণাবাঁশি। এগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে আড়বাঁশি সর্বাধিক প্রচলিত।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মধ্যযুগীয় কিছু গ্রন্থ অনুযায়ী বাঁশির বাদককে বংশীকা এবং বাংলায় তাঁদের বংশীবাদক বলে। বাঙালি কিছু বিখ্যাত বংশীবাদক হচ্ছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পান্নালাল ঘোষ, হাজি আবদুল হাকিম, আজিজুল ইসলাম, বারী সিদ্দিকী প্রমুখ।</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"> </p>