স্মার্ট শিক্ষায় বদলে যাবে অবকাঠামো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্মার্ট শিক্ষায় বদলে যাবে অবকাঠামো

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান সরকার তাদের যাত্রা শুরু করেছে। আর এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশন। সেই লক্ষ্যে বেশ আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে গত বছর থেকে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম।

একই সঙ্গে শিক্ষার অবকাঠামোতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৬৫ হাজার ২৪২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের ১৬টি প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে। এই প্রস্তাব অনুমোদিত হলে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই শিক্ষার অবকাঠামোতে বিপ্লব আসবে, যা স্মার্ট এডুকেশন বাস্তবায়নের অংশ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানা যায়, গত সরকারের মেয়াদে ছয় শতাধিক স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ হয়।

সেসব প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো খুব একটা ভালো নয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে ভবনও নেই। নতুন প্রকল্পে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিন হাজার প্রতিষ্ঠানে এখনো কোনো ভবনই নির্মাণ করা হয়নি।
সেখানে রোদ, ঝড়, বৃষ্টিতে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়াই কষ্টকর হয়ে পড়ে। নতুন প্রকল্পের আওতায় সেসব প্রতিষ্ঠানেও ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া নতুন প্রকল্পে কলেজ, হাওর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের স্কুল-কলেজকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিখনকালীন মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে গ্রাম-শহর, ধনী-দরিদ্র বা অন্যান্য ধরনের বৈষম্য দূর হবে।

আর এই শিখনকালীন মূল্যায়নে শ্রেণিকক্ষেই বেশির ভাগ পড়ালেখা শেষ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া নানা ধরনের দলগত কাজ করতে হয় নতুন শিক্ষাক্রমে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে পড়বে। এ জন্য শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মতো গ্রামের স্কুল-কলেজেরও অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি।

জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, স্মার্ট দেশের জন্য স্মার্ট এডুকেশনের প্রয়োজন। আর স্মার্ট শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে, যাতে তারা আকর্ষণ বোধ করে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবকাঠামোর উন্নয়ন হলে গ্রাম-শহরের বৈষম্য শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। নারীশিক্ষার প্রসার হবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে মিল রেখে শিখন পদ্ধতির
রূপান্তরে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছি। যেসব প্রতিষ্ঠানে এখনো সরকারি ভবন করা হয়নি বা যেখানে শিক্ষার্থীর তুলনায় অবকাঠামোর সংকট আছে, সেখানে আমরা উন্নয়ন করতে চাই। এ জন্য আমাদের অধিদপ্তর থেকে স্টাডি শেষে নতুন ১৬টি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার অবকাঠামোতে বিপ্লব সাধিত হবে।

প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার আরো বলেন, শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার খুবই আন্তরিক। তবে করোনা মহামারিসহ নানা কারণে যেসব প্রকল্প বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা গত বছর চালু করতে সক্ষম হয়েছি। ঠিকাদারদের ২০২২ সালের নতুন রেট দেওয়া হয়েছে, যাতে নির্মাণসামগ্রীর ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে অবকাঠামোতে মানের কোনো ঘাটতি না হয়। এ ছাড়া বৃহত্তর পরিবেশে কাজ করতে আমাদের অধিদপ্তরের জন্য নতুন অর্গানোগ্রামের প্রস্তাব করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি অর্থায়নে অদ্যাবধি ভবন নির্মিত হয়নি, এরূপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে তিন হাজার ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। নির্বাচিত বেসরকারি কলেজগুলোর ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজার কলেজে ভবন নির্মাণ করা হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পে যেসব বেসরকারি কলেজে অধ্যাবধি ভবন নির্মিত হয়নি এবং যেসব কলেজের নির্মিত ভবনের ঊর্ধ্বমুখী ও আনুভূমিক সম্প্রসারণ প্রয়োজন সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

নতুনভাবে জাতীয়করণকৃত কলেজসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৩৫টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ২৫০ কোটি টাকা। নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ প্রকল্পে তিন হাজার ৬০০ ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার কোটি টাকা। হাওর এলাকার নির্বাচিত অবশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন পাবে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় এক হাজার ৯২০ কোটি টাকা।

নির্বাচিত কলেজসমূহে মাল্টিপারসার ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭০ কোটি টাকা। নির্বাচিত কলেজসমূহে অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ১৯২ কোটি টাকা। নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে হোস্টেল ও ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২৫৬ কোটি টাকা। ঢাকা কলেজে ৫০০ শয্যার ছাত্রাবাস নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ৪৮ কোটি টাকা। বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজে ৪৫০ শয্যার শেখ ফজিলাতুন নেছা ছাত্রী নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। খুলনা পাবলিক কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৪৫ কোটি টাকা। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের নির্বাচিত ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া নতুনভাবে সৃজনকৃত ৪৮৯টি উপসহকারী প্রকৌশলী, ২৭টি নির্বাহী প্রকৌশলী ও চারটি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৩ কোটি টাকা।

সম্প্রতি অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। যার ব্যয় ৪৯.৯৮ কোটি টাকা। কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলার নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৪৯ কোটি টাকা। চাঁদপুর জেলার গনি মডেল এবং লুধুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৪৮ কোটি টাকা। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ৪৮ কোটি টাকা। বালাগঞ্জ মাদরাসার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বিদেশি অর্থায়নে বা সাহায্য নিয়ে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে হাওর এলাকায় নির্বাচিত উপজেলা সদরে ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন। সৌদির অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের ব্যয় এক হাজার ২৯ কোটি টাকা। রাজশাহী কলেজ মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ক্রীড়া সুবিধা স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ৯.৭৬ কোটি টাকা। ওড়াকান্দি দেবী শাস্ত্রি সত্যভামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জকে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ২৭.৬৮ কোটি টাকা।

জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশে নির্মিত এক হাজার ২৫৯টি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। একই দিনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সারা দেশে নির্মিত ৪৭০টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণকাজের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে অধিদপ্তরের অধীনে ৩৬টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জন্য সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৫টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত এক হাজার ৭৪৯ কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যার অগ্রগতি ৯৯.৪৮ শতাংশ।

সূত্র জানায়, স্মার্ট এডুকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে প্রস্তুত হতে এরই মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। গত বছর এই অধিদপ্তরের শূন্য পদ পূরণে ২৫৪ জন কর্মকর্তাসহ ৯৯১ জনবল নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ১১ থেকে ১৬তম গ্রেডের ৫১৩টি পদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে ছয়জন, নির্বাহী প্রকৌশলী পদে ছয়জনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৩১ জন কর্মকর্তা ও ২৮ জন কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) প্রণয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে অবকাঠামোর ডিজাইন বা ড্রইং যথাসময়ে সরবরাহের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র ডিজাইন শাখা করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি, সতর্ক অবস্থান যৌথ বাহিনীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাজধানীজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি, সতর্ক অবস্থান যৌথ বাহিনীর

সাম্প্রতিক নানা ইসু্য সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়। সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্তক অবস্থানে ছিল যৌথ বাহিনী। প্রস্তুত ছিল পুলিশের রায়টকারসহ বিশেষ সরঞ্জাম।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, চলমান মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারেএমন আশঙ্কায় সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বায়তুল মোকাররম ঘিরে সর্তকতা : গতকাল সকাল থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান, এপিসি মোতায়েন ছিল আশপাশের এলাকায়।

এ সময় পল্টনে তোপখানা রোডের আশপাশের বিভিন্ন মোড়ে যৌথ বাহিনীকে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলাসহ বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের নিপীড়নের প্রতিবাদে বিভিন্ন ইসলামী দল ও সংগঠন ঢাকায় বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এরই মধ্যে জুমার নামাজের পর মসজিদটির বাইরে লোকজনকে কালো পতাকা হাতে মিছিলসহ ফিলিস্তিনে হামলার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। কারো কারো হাতে ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন পতাকা ছিল।

খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিচার দাবি করেছে। দলটির নেতারা বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর স্লোগান দেন। পরে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগানসহ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে চলে যান।

অন্যদিকে নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব পাশে সমাবেশ শুরু করে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে রাখা হয়েছে ডিএমপির জলকামান, এপিসি কার ও দুটি প্রিজন ভ্যান। বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

আর নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান করছেন বিজিবি সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ মিছিল করবে; এ ছাড়া ছাত্রশিবির ও জামায়াতের সদস্যরা মসজিদ এলাকায় উপস্থিত আছেন- এই খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া সাদা পোশাকে ও ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিপুলসংখ্যক সদস্যকে জ্যাকেট পরে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কোনো পুলিশ সদস্য মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যান্য এলাকায় সতকর্তা : গতকাল বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, প্রেস ক্লাব, পল্টন, হাইকোর্ট, সার্ক ফোয়ারার সামনে সর্তক অবস্থানে থাকতে দেখা যায় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের। এ সময় মুসল্লি ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে। এ ছাড়া নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিজিবি সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও শাহবাগ মোড়ে ছিল পুলিশের অবস্থান।

এর বাইরে গুলশান, উত্তরা, মিরপুর, রমনা, পুরান ঢাকা ও মতিঝিলের বিভিন্ন এলাকা এবং রামপুরা টিভি স্টেশনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনের নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে সকাল থেকেই।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে ছিল মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি। এ ছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।

 

 

মন্তব্য

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে গতকাল জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ করে হেফাজতে ইসলাম। ছবি : কালের কণ্ঠ

গাজায় নির্যাতিত মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও ভারতে মুসলিমদের ওপর আগ্রাসনের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ সারা দেশে সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, সিপিবি ও বাসদ।

গতকাল দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, পৃথিবীর মানচিত্র মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত করা হচ্ছে। ভারত ও ইসরায়েল যৌথভাবে মুসলিম নিধন করছে।

এই যৌথ শক্তিকে রুখতে বিশ্বের মুসলমান ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি আমাদের আহ্বান, দ্রুত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক। ফিলিস্তিন মুক্ত করতে বিশ্বে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে আরব লিগ ও ওআইসিসহ মুসলমানদের সব সংগঠনকে আমরা আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর পাশাপাশি ভারতের মুসলমানদের রক্ত দিয়ে হোলি খেলার পাঁয়তারা চলছে।

মুসলমানদের তিন শ বছরের ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে তারা আওরাঙ্গজেব আলমগীর (রহ.)-এর সমাধি উত্খাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ভারতকে বলতে চাই, তারা ওই সমাধিতে আঘাত করলে ভারতকে খান খান করে দেব।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব। এ ছাড়া বক্তব্য দেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নায়েবে আমির আহমাদুল কাসেমী প্রমুখ।

গণহত্যার বিচার দাবি করেছে সিপিবি ও বাসদ

যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা, খান ইউনিসসহ বিভিন্ন স্থানে জায়নবাদী ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ।

গতকাল সকালে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ নেতারা।

বক্তারা বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত এই গণহত্যার জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার আরব সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ নেতারা।

নেতারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ, দেশে দেশে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্ট সব যুদ্ধ এবং যুদ্ধ উন্মাদনার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে প্রতিবাদ প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান তাঁরা।

এ ছাড়া চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলাম, সিলেটে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হেফাজতে ইসলাম, গাইবান্ধায় ইসলামী ছাত্রশিবির, ঝালকাঠির নলছিটিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্রঐক্য পরিষদ, টাঙ্গাইলে ছাত্রশিবির, পঞ্চগড়ে ঈমান আকিদা রক্ষা কমিটি, চাঁদপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গোপালগঞ্জে ওলামা পরিষদ, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তৌহিদী মুসলিম জনতা, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদায় দর্শনা প্রেস ক্লাব, বগুড়ার ধুনটে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা, দিনাজপুরের হিলিতে তৌহিদী জনতা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, কুমিল্লার মুরাদনগরে হেফাজতে ইসলাম, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তৌহিদী জনতা, মাদারীপুরের শিবচরে পৃথকভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,  রাজবাড়ীতে সাধারণ মুসলিম সমাজ ও শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয় বলে কালের কণ্ঠর সংশ্লিষ্ট নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

 

মন্তব্য
রুহুল কবীর রিজভী

জনগণ আ. লীগকে ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জনগণ আ. লীগকে ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই
রুহুল কবীর রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার গণহত্যায় দোষীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি জনগণ তাদের ক্ষমা করে তাহলে আমাদের (আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া) কোনো আপত্তি নেই।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন যে নেতৃত্বে আসবে, সে যদি ছাত্র হত্যা, অপরাধ, অর্থ লোপাট ও টাকা পাচার না করে থাকে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না এমন প্রশ্ন উঠছে। অথচ এই প্রশ্ন উঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচার হবে কি না? কারা এই কাজ করেছে, এটা কি মানুষ দেখেনি? যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি শাখার আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলে তবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।

অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর, কফিল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

মন্তব্য
আসিফ মাহমুদ

আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর ইচ্ছা বা পরিকল্পনা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা কবে থেকে জার্মানি, ইতালির চেয়ে বেশি ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেটিক হয়ে গেলাম? গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক।

ফেসবুকে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা তৈরি হবেএসব শঙ্কার কথা বলে কেউ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জনতার ঐক্যে ফাটল ধরাতে আসবেন না।

আসিফ লিখেছেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে বারবার বলছেন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইলেকশন হবে। আমি নিশ্চয়তা দিতে চাই সরকার এই কথা রাখবে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।

তিনি লিখেন, গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শুধু জাতীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে ইউএন (জাতিসংঘের) রিপোর্টের মাধ্যমে স্বীকৃত।

জনতার ঐক্য জিন্দাবাদ।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ