মার্কিন শিক্ষা দপ্তর বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

  • শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করে
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
মার্কিন শিক্ষা দপ্তর বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগকে বিলোপ করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার এই প্রশাসনিক নির্দেশে সই করার পর ট্রাম্প বলেছেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করে দেব। এই দপ্তর ভালো কোনো কাজ করছে না। তবে প্রশাসনিক নির্দেশে কোন প্রকল্প বন্ধ করা হবে তা বিস্তারিত বলা হয়নি।

মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা মিকম্যানকে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এই দপ্তরকে বন্ধ করে দিতে। লিন্ডার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভালো কাজ করছেন। মনে হয়, তিনিই আমেরিকার শেষ শিক্ষামন্ত্রী হবেন।

শিক্ষা দপ্তর যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালাত, তা অন্য এজেন্সির হাতে দিয়ে দেওয়া হবে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্তরে শিক্ষা দপ্তর তুলে দেওয়ার অর্থ হলো, শিক্ষা নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত এবার অঙ্গরাজ্যগুলো নিজেরাই নিতে পারবে।

তবে তাঁর কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্তও আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করে। তার পরও সাফল্যের নিরিখে মার্কিন শিক্ষার্থীরা একেবারে নিচের দিকে থাকে।

এবার কংগ্রেস শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করা নিয়ে প্রস্তাব অনুমোদন করবে। তবে এই আইন পান করার জন্য ট্রাম্পের কাছে যথেষ্টসংখ্যক এমপি আছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সিনেটে রিপাবলিকানদের ৫৩ জন ও ডেমোক্র্যাটদের ৪৭ জন সদস্য আছেন। এই সিদ্ধান্ত পাশ করানোর জন্য ন্যূনতম ৬০ জন সদস্যের সমর্থন দরকার।

তবে শিক্ষা দপ্তর যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না-ও হয়, ট্রাম্প এখানে অর্থ দেওয়া বন্ধ করতে পারেন, কর্মী কমাতে পারেন।

ইউএসএইডের ক্ষেত্রেও তিনি সে কাজই করেছেন। যার ফলে তাদের অনেক কাজই বন্ধ হয়ে গেছে।           সূত্র : ডয়চে ভেলে

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ ৩৪৩ জন আটক

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ ৩৪৩ জন আটক

তুরস্কে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। টানা তৃতীয় দিনের মতো স্থানীয় সময় গত শুক্রবার গভীর রাতে তুরস্কজুড়ে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। দেশটির তিনটি বড় শহর ইস্তাম্বুল, রাজধানী আংকারা এবং পশ্চিম উপকূলীয় শহর ইজমিরে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

৩৪৩ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া এ কথা জানিয়েছেন। গত বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর দেশটির ৮১টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ৫০টিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানচেষ্টা অ্যাখ্যা দিয়েছে।
সিএইচপি কয়েক দিনের মধ্যেই এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইমামোগলুর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইস্তাম্বুল, আংকারা, ইজমির, আদানা, আন্টালিয়া, কানাক্কালে, এসকিসেহির, কোনিয়া ও এদির্নে বিক্ষোভের ঘটনায় ৩৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা

মন্তব্য

জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বৈঠক

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বৈঠক

বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে অভিন্ন ভিত্তি স্থাপনে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা বৈঠক করেছেন। গতকাল জাপানের রাজধানী টোকিওতে এই বৈঠক হয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তাই-ইউলের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া বলেন, বৈঠকে তিন কূটনীতিক জাপানে একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন। টোকিও, বেইজিং সিউল কিভাবে ক্রমহ্রাসমান জন্মহার এবং বয়স্ক জনসংখ্যা মোকাবেলা করতে পারে সে বিষয়ে ওই সম্মেলনে আলোচনা হবে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, আমাদের তিনটি দেশের সম্মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ১.৬ বিলিয়ন এবং অর্থনৈতিক উৎপাদন ২৪ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আমাদের বিশাল বাজার এবং বিপুল সম্ভাবনার মাধ্যমে আমরা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করতে পারি। চীন তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরু করতে এবং ১৫টি দেশের জোট রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের সদস্য বাড়াতে চায়। সূত্র : সিএনবিসি

মন্তব্য

বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল
জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, হিলারি ক্লিনটনসহ বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের কথা বলার পর এই পদক্ষেপ নিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও বাতিল করা হচ্ছে। ট্রাম্পের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের জন্য গোপন তথ্যে প্রবেশাধিকার আর জাতীয় স্বার্থে নেই।

সাধারণত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র সৌজন্যতা হিসেবে বজায় রাখা হয়। নিরাপত্তা ছাড়পত্র হাতছাড়া হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, সাবেক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা লিজ চেনি ও অ্যাডাম কিনজিংগার এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক উপদেষ্টা ফিওনা হিলও আছেন। এ ছাড়া জ্যাক সুলিভান, লিসা মোনাকো, মার্ক জাইদ, নরম্যান এইসেন, লেটিশিয়া জেমস, এলভিন ব্র্যাগ, অ্যান্ড্রু ওয়েইসম্যান এবং আলেকজান্ডার ভিন্ডম্যান নিরাপত্তা ছাড়পত্র হারিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সুদানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পুনরুদ্ধারের পর এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার সেনাবাহিনী জানায়, গত রাতে তারা রাজধানী খার্তুমে  আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি আরএসএফের দুই বছর ধরে চলমান সংঘাতে সেনাবাহিনীর একটি বড় সাফল্য। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তুমুল লড়াই ছড়িয়ে পড়ে।

জাতিসংঘের মতে, এই সংঘাত বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটের দিকে পরিচালিত করেছে। যার ফলে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে খাদ্যাভাব তৈরি হয়েছে। আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র : এএফপি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ