<p>২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় কক্সবাজারে। বাংলাদেশের ওপর বোঝা হয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত করতে বিশ্বব্যাংকের অনুদানে একটি প্রকল্প চালু করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ৩৩৭ কোটি টাকায় শুরু হওয়া প্রকল্পটিতে কয়েক ধাপে ব্যয় বাড়ার পর এখন আবার ব্যয় প্রায় ১০০ কোটি বেড়ে ৬৯৯ কোটি টাকায় দাঁড়াচ্ছে।</p> <p>আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। প্রকল্পটির ৯০ শতাংশ অগ্রগতির পর রোহিঙ্গা প্রকল্পে অনুদান বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া আরো সাত প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।</p> <p>ঝুঁকিপূর্ণ যুব ও নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে (ডিআরপি) উৎপাদনশীল কাজে সরাসরি নিয়োজিত করে ক্যাম্পের বিদ্যমান সেবাগুলোর মান বৃদ্ধি, মৌলিক সুবিধাদি-পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং সামাজিক স্থিতির মানোন্নয়ন করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি ওয়ার্ক অ্যান্ড সার্ভিস সাপোর্ট কার্যক্রমগুলো জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।</p> <p>প্রকল্প সূত্র বলছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের (আইডিএ) যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি একনেকে ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর অনুমোদিত হয়। আলোচ্য প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের (আইডিএ) সঙ্গে একটি বিনিয়োগচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মোট দুই কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ৩৩৪ কোটি টাকা অনুদান সহায়তা দেয় বিশ্বব্যাংক। পরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত বিশ্বব্যাংকের সেকেন্ড অ্যাডিশনাল ফিন্যান্সিং চুক্তির আওতায় আরো দুই কোটি ১৯ লাখ ডলারসহ মোট ৫৯৫ কোটি টাকা অনুদান সহায়তা পাওয়া যায়। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বরে আরেকটি চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত ১০ লাখ ডলার পরিচালন ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রকল্প অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিলে আরেক চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত এক কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রকল্প অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে। অনুদান চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।</p> <p>দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে প্রকল্প অনুদান বাবদ প্রাপ্ত ১৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অন্তর্ভুক্ত করে এবং জিওবি খাতের তিন কোটি টাকা কমিয়ে মোট ৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবে একটি নতুন আইটেম হিসেবে সম্মানী খাত অন্তর্ভুক্ত এবং আন্ত অঙ্গ ব্যয় সমন্বয় করা হয়েছে।</p> <p> </p>