<p>মিয়ানমারের শক্তিশালী বিদ্রোহী জোটের একটি অংশ তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ক্ষমতাসীন মিয়ানমার জান্তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। মিয়ানমার-চীন সীমান্তে এক বছরব্যাপী যুদ্ধের পর তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) গতকাল সোমবার এই ঘোষণা দেয়।</p> <p>রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের শক্তিশালী প্রতিবেশী চীন বিদ্রোহীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পর গোষ্ঠীটি এই ঘোষণা দেয়। ২০২১ সালে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারে অশান্তি বিরাজ করছে। এরপর থেকেই ক্ষমতাসীন মিয়ানমার জান্তার শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করে জান্তা বিরোধীরা। প্রথমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু হলেও পরে একাধিক ফ্রন্টে তা সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণিত হয়।</p> <p>তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) তার অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি বিবৃতিতে বলেছে, উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে তাদের অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ করতে চায় এবং আলোচনায় বসতে চায়। চীনের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার জন্য তাদের প্রশংসাও করেছে গোষ্ঠীটি।</p> <p>তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ)-এর মুখপাত্র লওয়ে ইয়া বলেন, ‘আমাদের বেসামরিক নাগরিকরা বিমান হামলা এবং অন্যান্য সমস্যার মুখে পড়েছে। তাই আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’</p> <p>তবে বিদ্রোহী জোটের অন্য দুটি গ্রুপ আরাকান আর্মি এবং মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হযনি বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর আগে, জানুয়ারিতে চীন-মধ্যস্থতামূলক আলোচনার সময় বিদ্রোহী জোট মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছিল, কিন্তু এরপর জুনে সেই চুক্তি ভেস্তে যায় এবং আবারও যুদ্ধ শুরু হয়।</p> <p>রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা,ইয়াঙ্গুনে চীনের দূতাবাসকে তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির বিবৃতি নিয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি তারা। </p> <p>টিএনএলএ গত বছর ‘অপারেশন ১০২৭’ নামে শুরু করা একটি সমন্বিত আক্রমণের অংশ। যার নামকরণ করা হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠা হওয়ার শুরুর তারিখ অনুসারে। অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের বেশ কয়েকটি শহর এবং সামরিক পোস্ট হারিয়েছে বিদ্রোহীদের কাছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স </p>