যুক্তরাষ্ট্রে ছয়টি কারখানা তৈরি করতে যাচ্ছে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কম্পানি। ‘তাইওয়ান ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানি’ বা টিএসএমসি সর্ব মোট ১৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ পরিমাণ সরাসরি বিনিয়োগ। এই বিনিয়োগের ফলে এশিয়া থেকে সেমিকন্ডাক্টর কেনার হার আরো কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
আগেই তিনটি কারখানা তৈরির জন্য ৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় টিএসএমসি। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে আরো অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় টিএসএমসি। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের তৈরি পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দেওয়ার পর বিশাল এই বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় টিএসএমসি।
বিশ্বে যত সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদিত হয়, তার অর্ধেকের বেশি তৈরি হয় তাইওয়ানে। দেশটির সঙ্গে চীনের যে ভূ-রাজনৈতিক টানাপড়েন তাতে সেমিকন্ডাক্টরেরও ভূমিকা রয়েছে। তাইওয়ানের জন্য সেমিকন্ডাক্টর হলো ‘সিলিকনের ঢাল’। এই ঢাল চীনকে যুদ্ধ শুরু করতে বাধা দিচ্ছে এবং একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাশে রেখেছে।
তাইওয়ান দখল করে নিলে ‘তাইওয়ান ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পানি’ বা টিএসএমসিও চীনের মালিকানায় চলে যাবে। চীন অভিযান শুরু করলে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে।
এ ছাড়া সম্প্রতি বিদেশি চিপ আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোরও হুমকি দেন ট্রাম্প। সব মিলিয়ে তাইওয়ান থেকে উৎপাদন কারখানা সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে টিএসএমসি। তবে শুল্ক এড়ানোর এই প্রচেষ্টা তাইওয়ানকে খুব একটা স্বস্তি দেবে না।
উৎপাদন সরিয়ে নিলে তাইওয়ানের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হতে পারে। এ ছাড়া তাইওয়ানের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের খরচ বেশি। এতে টিএসএমসির তৈরি সেমিকন্ডাক্টরের দামও বেড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রও সেমিকন্ডাক্টরের জন্য আর তাইওয়ানের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না। সূত্র : ফ্রান্স২৪