আগামী মাস থেকে ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক কোটি নাগরিকের চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। মার্কিন পণ্যের ওপর ভারতের শুল্কহার ৯.৫ শতাংশ।
এর বিপরীতে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারণ করা শুল্কের হার ছিল ৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র এরই জবাবে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। শুল্ক আরোপ করা হলে ভারত থেকে আমদানি করা ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে মার্কিনরা। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত মোট ব্র্যান্ডবিহীন ওষুধের প্রায় অর্ধেকই ভারত থেকে নেওয়া হয়।
ব্র্যান্ডের ওষুধের চেয়ে জেনেরিক ওষুধের দাম তুলনামূলকভাবে কম।
স্বাস্থ্য খাতের পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইকিউভিআইএ জানায়, শুধু ২০২২ সালেই ভারতের জেনেরিক ওষুধ আমদানি করায় যুক্তরাষ্ট্রের সাশ্রয় হয় ২১৯ বিলিয়ন ডলার বা ২১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। আইকিউভিআইএর প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ রক্তচাপ ও মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ৬০ শতাংশ ওষুধ ভারত থেকে আসে। দেশটির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট সারট্রালিনও সরবরাহ করা হয় ভারত থেকে।
নতুন করে শুল্ক আরোপের কারণে ভারতীয় ওষুধের দাম বাড়তে পারে। দাম বাড়লে বাজারে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্সের সুদর্শন জৈন বলেন, ‘ভারতে ওষুধ উৎপাদন করা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ সাশ্রয়ী। ফলে দ্রুত উৎপাদন স্থানান্তর করা অসম্ভব।’
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর শুল্কমুক্তভাবে প্রায় এক হাজার ২৭০ কোটি ডলারের ওষুধ রপ্তানি করে ভারত।
অন্যদিকে মার্কিন ওষুধ ভারতে প্রবেশের সময় ১০.৯১ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এই পার্থক্যের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় ওষুধের ওপর শুল্ক বসাচ্ছে, যা উভয় দেশের ওষুধ বাজারকে চাপে ফেলতে পারে। সূত্র : বিবিসি