<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতাকারীদের দমনে ব্যবহার করা হয়েছিল </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তাঁর দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কেউ স্ট্যাটাস দিলেও তাঁকে ওই আইনে গ্রেপ্তার করে জেলে দেওয়া হতো। আর সাংবাদিক ও বিরোধী রাজনীতিকদের ধরতে চাইলেই দেওয়া হতো এই আইনে মামলা। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সেই আইনটির নাম বদলে রাখা হয় </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাইবার নিরাপত্তা আইন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। সমালোচনামুক্ত হতে পারেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার এই আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আইনটি বাতিল হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ আমলে তৈরি হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার টার্গেট ছিলেন সাংবাদিকরা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই আইনে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ৪৫১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৯৭ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২৫৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাঁদের লেখা রিপোর্টের জন্য। ৪৫১ জনের মধ্যে ২০৯ জন সাংবাদিক জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত এবং ১৯৭ জন বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সাংবাদিক। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে গত বছর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হয়। তৎকালীন সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করে। তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে এই আইনে সাত হাজার একটি মামলা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সিজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এক হাজার ৪৩৬টি মামলা হয়েছে এবং কমপক্ষে চার হাজার ৫২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বাইরের প্রায় ১১৩ জন অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ২০২ জন। তাঁদের মধ্যে ১২৪ জন সংক্ষুব্ধ পক্ষ, বাকি ৬১ জন এমন ব্যক্তি যাঁরা এই সাংবাদিকদের সংবাদ বা অন্য কোনো কাজ দিয়ে সরাসরি প্রভাবিত হননি। বিচারের মুখোমুখি হওয়াদের এক-তৃতীয়াংশ সাংবাদিক ও আরো এক-তৃতীয়াংশ রাজনীতিবিদ। গবেষণা অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২০ সাল থেকে ৪৯৫ জন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ডিজিটাল মামলায় গ্রেপ্তারদের অন্তত এক-চতুর্থাংশ রাজনীতিবিদ। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত ২১.৭৫ শতাংশ রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর অর্থ হলো গত বছর নির্বাচনের আগে অনেক রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এই আইনের মামলায়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া অন্তত ২৮ জন অপ্রাপ্তবয়স্কের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টের কারণে মোট ৯০৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট দুই হাজার ৩২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামে প্রতিস্থাপন করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>