<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) এম এ রিয়াজ কচি ক্ষমতায় থাকাকালে নানাভাবে অবৈধ অর্থ কামিয়ে এখন দেশছাড়া। বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারি সিন্ডিকেট ছিল তার অবৈধ আয়ের বড় উৎস। মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার পাশাপাশি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন কচি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ আমলের শেষ দিকে পতন নিশ্চিত জেনেই দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন কচি। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, পালিয়ে নয়, তিনি ভারতে গেছেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের দুই নাতির চিকিৎসার জন্য।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুসন্ধানে জানা গেছে, এম এ রিয়াজ কচির পিতা মাগুরা জেলার বাসিন্দা হলেও লেখাপড়ার সুবাদে আসেন খুলনায়। ছাত্র থাকা অবস্থায়ই তিনি দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান। পরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে করণিক হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। সেই হিসেবেই কচির পৈতৃক নিবাস খুলনার দিঘলিয়া।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এম এ রিয়াজ কচি খুলনা বিএল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তখন থেকেই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে মামার বাড়িতে আশ্রিত পরিবারটি মোটা অঙ্কের টাকায় জমি কিনে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থনৈতিক উপদেষ্টার একচ্ছত্র সমর্থন থাকায় ছাত্রাবস্থায় কচি বাগিয়ে নেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ ভিড়ে যায় তার দিকে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। ঠিকাদারি, মাদক ব্যবসাসহ খুলনার অনেক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে। ক্ষমতার দাপটে তার কাছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও ছিলেন অসহায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত-সমালোচিত ওই নেতার অবৈধ অর্থের বড় উৎস হচ্ছে নিয়োগ ও তদবির বাণিজ্য। তার প্রতি প্রত্যক্ষ মদদ ছিল অর্থ উপদেষ্টার সহধর্মিণীর। খুলনা থেকে পুলিশে নিয়োগেও ছিল কচি গংয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২০টি নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে কচির বিরুদ্ধে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লোভনীয় পদে বদলি বাণিজ্য করেও প্রচুর টাকা আয় করেন তিনি। কথিত আছে, পদ্মা সেতুতে ড. মসিউর রহমানের দুর্নীতির খবর প্রকাশ পেলে তার স্ত্রী ইভা রহমান তাদের অবৈধ টাকাকড়ি কচির কাছে হস্তান্তর করেন। সেই টাকা ইভা রহমান আর জীবদ্দশায় ফেরত পাননি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এম এ রিয়াজ কচি দিঘলিয়ার কাজী শাহনেওয়াজ জুট মিলের শেয়ার কিনে বন্ধ থাকা মিলটি চালু করেন। পাশাপাশি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করেন। মিলের উৎপাদিত পণ্য ভারতে রপ্তানি করার মাধ্যমে ভারতের একটি চক্রের সঙ্গেও তার সখ্য গড়ে ওঠে। তাদের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গে জমি কিনে কচি বাড়ি করেছেন বলেও এলাকায় জনশ্রুতি আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জানতে কচির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ভারতে অবস্থানের কথা স্বীকার করলেও কালের কণ্ঠের কাছে দাবি করেন তার সেখানে কোনো বাড়ি নেই। এমনকি দেশেও পৈতৃক বাড়ি ছাড়া তার নিজ বা স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি বা জমি এবং ব্যাংকেও খুব বেশি টাকা নেই। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেগুলো দলীয় কোন্দলের জের বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক বলেই আওয়ামী লীগের একাংশ তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>