<p>নেত্রকোনার মদনে মেয়াদোত্তীর্ণ সিমেন্ট দিয়ে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও নিয়ম-নীতির কিছুই মানছেন না ঠিকাদারের লোকজন। নির্মাণকাজে মেয়াদোত্তীর্ণ সিমেন্ট পাওয়া গেলেও কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়নি এলজিইডি।</p> <p>স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মদন উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, মাঘান ইউনিয়নের হাজী চমক আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে নৌশী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৭ টাকা। ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ৯ মাসের মধ্যে শেষ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ২ মাস অতিবাহিত হলেও নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেননি ঠিকাদার।</p> <p>স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণকাজের শুরু থেকেই অনিয়ম করছেন ঠিকাদার। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।</p> <p>বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে ভবন নির্মাণের মালামাল রাখার ঘরে মেয়াদোত্তীর্ণ ২৫-৩০টি সিমেন্টের বস্তা এলোমেলোভাবে রাখতে দেখা গেছে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা আলী আহাদ, জজ মিয়াসহ অনেকেই জানান, ‘ভবনের ঢালাই কাজের দিন দেখতে পাই, যেসব সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মেয়াদ নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি দায়িত্বরত লোকজনকে জানাই।’</p> <p>ওই ভবন নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা মদন প্রকৌশল অফিসের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট মজলু মিয়া জানান, এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ৭০ বস্তা সিমেন্ট ছিল।</p> <p>মদন উপজেলা প্রকৌলী গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, ঠিকাদার মেয়াদোত্তীর্ণ সিমেন্ট আনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, এসব সিমেন্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।</p> <p>নৌশী এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি লিংকন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।</p>