<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আতশবাজি পুড়িয়ে ও ফানুস উড়িয়ে ঢাকায় প্রতিবছর ইংরেজি নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপন করা হয়। এতে উদযাপনের কয়েক ঘণ্টা আগে ও পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বায়ু ও শব্দের মানমাত্রায় বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপন শুরুর পর ঢাকার বায়ুদূষণ বেড়ে যায় গড়ে ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে শুরু করে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দে শব্দদূষণ বেড়ে যায় ৭৪ শতাংশ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত সাত বছরে নববর্ষ উদযাপনের সময় ঢাকার বায়ু ও শব্দের মান বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এসংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে সংগঠনটি। এরই সঙ্গে আতশবাজি ও ফানুসমুক্ত নববর্ষ উদযাপনের দাবি জানিয়েছে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের নেতৃত্বে গবেষকদল সাত বছর ধরে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বায়ু ও শব্দ দূষণের তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানের মাঠ জরিপ ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি জানান, ২০২৩ সালের নববর্ষে রাত ১১-১২টার তুলনায় পরবর্তী ১ ঘণ্টার বায়ুদূষণের পরিমাণ প্রায় ৩৬ শতাংশ ও শব্দদূষণ ১০২ শতাংশ বেড়েছিল। অন্যদিক ২০২৪ সালের নববর্ষে বায়ুদূষণ প্রায় ৩৫ শতাংশ ও শব্দদূষণ ৪২ শতাংশ বেড়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রতিবছরই ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলা আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ওড়ানো হয়। এতে বছরের প্রথম দিনের বায়ু অনেক বেশি দূষিত থাকে। সেই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকার তীব্র শব্দে তৈরি হয় শব্দদূষণ। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ ও বায়ু দূষণ মানুষ, পশু-পাখি, উদ্ভিদসহ প্রাণ-প্রকৃতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। এসবের পরিবর্তে বরং সীমিত শব্দে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বছর উদযাপন করা যেতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহিদুল ইসলাম বলেন, আতশবাজি পোড়ানোর কারণে শারীরিক ও জীববৈচিত্র্যের বিপর্যয় ঘটে। যেভাবে নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপন করা হয়, তা সাংস্কৃতিক হুমকিও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপনের আয়োজন করা হয়। সরকার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বায়ুদূষণের ফলে উদ্ভিদের খাদ্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। বায়ুদূষণ অথবা শব্দদূষণের কারণে ওই এলাকার ইকোসিস্টেমে যত পোকামাকড় থাকে, সেগুলো নিজেদের বাঁচানোর জন্য অন্যত্র চলে যায়, যার কারণে উদ্ভিদের প্রজননের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৭ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৬ থেকে ৬৬ শতাংশ</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকায় ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপনে সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ বায়ুদূষণ বেড়েছে। গড় হিসাবে তা ১৯ শতাংশ। তবে করোনার সময়ে উদযাপন অনেকটা সীমিত হওয়ায় ২০২১-২২ সালে এই দূষণ ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভালো বায়ু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলা হয়। গত সাত বছরে নির্দিষ্ট দুই দিনে (৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি) কখনোই বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে ছিল না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষণার তথ্য অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর রাতে নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপনের আগের তিন ঘণ্টার গড় বায়ুমান থেকে নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমানের অবনতি হতে শুরু করে। এ সময় বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতিও অনেক বেড়ে যায়, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিশ্র এলাকা</span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র ঢাকায় শব্দের মাত্রা শিল্প এলাকার চেয়েও বেশি </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত সাত বছরে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত ১টা (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ঢাকায় গড়ে ৭৪ শতাংশ শব্দদূষণ বেড়েছে। এই সময়ে শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকার জন্য রাতের বেলা শব্দের মাত্রা ৫০ ডেসিবেলর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। ঢাকা শহরকে একটি মিশ্র এলাকা ধরলে দেখা যায়, ৩১ ডিসেম্বর রাতে শব্দের মাত্রা এত তীব্র থাকে যে তা শিল্প এলাকার জন্য নির্ধারিত ৭০ ডেসিবেলও অতিক্রম করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দূষণ রোধে সুপারিশ</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মলনে নববর্ষ উদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাপনের সময় বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধে আতশবাজি ও ফানুসের আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ও অন্যান্য পরিবেশ সুরক্ষা আইনের কার্যকর প্রয়োগসহ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক নগর পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা না ফোটানোর আহ্বান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধে ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থার্টিফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে, যা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। এ আগে আতশবাজির শব্দে ভয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াসহ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য। আইন ভঙ্গ করলে অনধিক এক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>