<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও আন্ত বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা পাচ্ছে না। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটও চরমে। তবে সংকটের মধ্যে চিকিৎসাসেবা কোনো রকমে চললেও রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯১২ সালে ২০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল। নব্বইয়ের দশকে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে ৮০ করা হয়। ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আরো ২০ শয্যা সংযুক্ত করা হয় ২০১৬ সালে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ রোগী এর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয়। ভর্তি হয় গড়ে ৩০ জন। তবে বহির্বিভাগ ও আন্ত বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা পায় না। কারণ এখানে জুনিয়র কনসালট্যান্ট রেডিওলজিস্ট ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট প্যাথলজিস্টের দুটি পদ শূন্য। একই সঙ্গে রেডিওলজিস্ট ও প্যাথলজিস্ট এ পদ দুটিও খালি। তাই আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ। আবার অ্যানালাইজার মেশিন থাকলেও রক্ত পরীক্ষা বন্ধ। ম্যানুয়াল এক্স-রে ছাড়া এখানে অন্য কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না। এ ছাড়া ইসিজির জন্য একটি মেশিন থাকলেও তা পরিচালনার জন্য নেই কোনো টেকনোলজিস্ট। তাই রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার হাসপাতাল ঘুরে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড় লেগেই থাকে। বিভিন্ন রোগ নিয়ে বরিশাল নগর ও জেলার ১০ উপজেলার অসুস্থ রোগীরা এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চিকিৎসাসেবা পেলেও তারা কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ হাসপাতাল থেকে পাচ্ছে না। আর বাইরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে প্রায়ই দালালদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের সংকটের কথা মন্ত্রণালয়ে বারবার জানানো হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্যাথলজি ও রেডিওলজি বিভাগের চারটি পদের সব কয়টিই শূন্য। তাই রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেনারেল হাসপাতালের  পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্টের (চক্ষুবিদ্যা) দুটি পদে একজনও নেই। অন্যদিকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি ও অবস) একটি পদ থাকলেও সেখানে কেউ নেই। এ ছাড়া শিশু বিভাগ, প্যাথলজি এবং রেডিওলজি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কনসালট্যান্ট নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের প্রশাসনিক দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মোট ২৭৯টি পদের মধ্যে ৫৮টি গুরুত্বপূর্ণ পদ এখনো খালি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিভুক্ত চিকিৎসকের ৩৪টি পদের বিপরীতে কনসালট্যান্টের ১০টি শূন্য, দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত সেবিকাদের ১৮৪টি পদের মধ্যে  ১৪টি শূন্য, তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত থেরাপিস্ট-টেকনোলজিস্টসহ ২৭ কর্মচারী পদের মধ্যে ১৩টি এবং চতুর্থ শ্রেণিভুক্ত কর্মচারীর ৩৪ পদের মধ্যে ২০টি পদ শূন্য।</span></span></span></span></p>