<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ফৌজদারি মামলায় কারাবাসের তথ্য গোপন, স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেড় বছর পর আবার যোগদান, বিদেশে সেমিনারে যোগদানের ভুয়া আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরও তিনি চাকরি করে পাচ্ছেন নিয়মিত বেতন-ভাতা, জুটেছে পদোন্নতিও।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব অভিযোগে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত সহযোগী অধ্যাপক (রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং) ডা. ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে ১০ মার্চ বিভাগীয় মামলা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের শৃঙ্খলা অধিশাখার এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হাফিজকে এই বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও থমকে আছে তদন্ত কার্যক্রম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ডা. ফাতেমা দোজার স্বামী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম জামাল। ডা. জামালের তদবির এবং ডা. ফাতেমা আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ-এর প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এই তদন্ত শেষ করা যায়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডা. ফাতেমার একাধিক সহকর্মী জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর ডা. ফাতেমা বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব-এর নেতা সেজেছেন। বিএনপির বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের কাছে ধরনা দিয়ে মামলাটি ধামাচাপা দিতে লিপ্ত রয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির তদন্তে ডা. ফাতেমার সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতির বিষয়টি গোপন করে পুনরায় যোগদানের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ডা. ফাতেমা লিখিতভাবে কমিটিকে জানিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন এবং তাঁর আবেদনপত্র তৎকালীন এনআইসিভিডি পরিচালকের মাধ্যমে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অগ্রায়ণ করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে উত্তর যুক্তরাষ্ট্রের রেডিওলজি সোসাইটির বার্ষিক সভা ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণপত্র জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে ফাতেমার বিরুদ্ধে। এই আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে বিদেশ যেতে চাইলে স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে, আমন্ত্রণপত্রটি ভুয়া।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিন্নাকুড়ি গ্রামের ১০ বছরের গৃহকর্মী মোস্তাকিনাকে গরম ইস্তিরি দিয়ে পুড়িয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ ছিল ফাতেমা দোজার বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের মে মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রমনা থানায় মামলা হলে তিনি গ্রেপ্তার হন। ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি হওয়ার তথ্য তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন করেন। কারামুক্ত হয়ে ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে চার মাস আট দিনের অর্জিত ছুটির আবেদন করেন এবং আবার কাজে যোগ দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে কথা বলতে ফাতেমা দোজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচয় জেনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর ফোন বন্ধ করে দেন।</span></span></span></span></p>