<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল। হঠাৎ যেন হাতে পেলেন আলাদিনের চেরাগ। এরপর মাত্র কয়েক বছরেই শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান সাবেক স্থানীয়  সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কথিত উন্নয়ন সমন্বয়কারী ও ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কামাল হোসেন।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের কৃষক নূর হোসেনের ছেলে কামাল। কাজ করতেন কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এক দালালের সহযোগী হিসেবে। কয়েক বছর আগে তৎকালীন কুমিল্লা ৯ আসনের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। নিজেকে পরিচয় দিতেন তাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে। নানা অপকর্মের মাধ্যমে তাজুলের বিশ্বস্ত হয়ে ওঠায় তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে সময় লাগেনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন হাজার কোটি টাকার মালিক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে কামালের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত আট কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার খবর। সংস্থাটি তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে  ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর মামলা করে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় বিবাদীর নামের একটি ১০ তলা ভবনে দুটি ফ্লোর এবং অপর একটি ছয়তলা ভবন রয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ শতক জমি, টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি এবং ব্যাংকে গচ্ছিত আট কোটি টাকারও বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্রে আরো জানা যায়, কামালের পারিবারিক ব্যয়, পরিশোধিত কর ও অপরিশোধিত দায়সহ ১৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৬ টাকার নিট সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আট কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৮০ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেছে। কিন্তু আট কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></p>