<p>নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমালোচনা করে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, ‘এখানে শামীম ওসমান রাজনীতি করেছেন। তিনি অনেকের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। আমি কারো হাতে একটি লাঠিও তুলে দেব না। কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই বিএনপিতে হবে না। গত ৫ আগস্ট তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু কোনো কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে করে নেননি। এবার আপনারা ভেবে দেখুন, এত দিন কার সঙ্গে ছিলেন। আমরা কখনো দেশ ছেড়ে যাইনি। যাবও না।’</p> <p>গতকাল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন এসব কথা বলেন। </p> <p>তিনি আরো বলেন, যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানুষ যাকে ভালোবাসবে সে-ই বিএনপি নেতা হবে।</p> <p>গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘প্রশাসন অস্ত্র খুঁজে পায় না। তাদের বলব, দৈনিক পত্রিকাগুলো দেখুন। সেখানে দেখুন কারা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। আন্দোলনে কারা গুলি করেছিল। সেসব অস্ত্র উদ্ধার করুন। নয়তো মানুষের কাছে আপনাদের ইমেজ পুনরুদ্ধার হবে না। আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হবেন।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে নতুন করে কাউকে আমদানি করতে হবে না। কারো আত্মীয়-স্বজন যদি আওয়ামী লীগ করে, তাকে যদি সাপোর্ট করতে চান, তাহলে আপনাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যত দিন এই দায়িত্বে থাকব তত দিন পর্যন্ত এমন কোনো অনৈতিক কাজে কেউ জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেব না।’</p> <p>এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খোন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।</p> <p> </p>