<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত এবং উভয় পক্ষের অর্ধশত লোক আহত হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো হাজীগঞ্জ বাজার ও আশপাশের এলাকা। সায়মুন নামের এক কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় আনার পর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে পুরো হাজীগঞ্জ বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মকিমাবাদ এলাকার সর্দার বাড়ির সালাহউদ্দিন ও আক্তার হোসেন এবং পাশের টোরাগড় এলাকার মিজানুর রহমান সেলিম এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই দুই পক্ষই স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের অনুসারী এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতৃস্থানীয়। তবে এ নিয়ে হাজীগঞ্জে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতাদের কেউ মুখ খুলছেন না। সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে হাজীগঞ্জে পৌঁছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, চাঁদপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>