<p>সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও চট্টগ্রামের ১৪ পৌরসভা কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়েছে। পৌরসভায় প্রশাসকের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এবং জেলা পরিষদে প্রশাসকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অপসারণ করা কাউন্সিলরদের বদলে কারা দায়িত্ব পালন করবেন, তা স্পষ্ট করেনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।</p> <p>চসিকে ওয়ার্ড আছে ৪১টি। এতে ৪১ জন সাধারণ এবং ১৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর আছেন। সব মিলিয়ে কাউন্সিলর আছেন ৫৫ জন। গত ২৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চসিকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চসিকের ৩৯ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস করছেন না। নিয়মিত অফিস করেন ৯ জন এবং সাতজন অনিয়মিত অফিস করেন। এর মধ্যে সব কাউন্সিলরকে তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।</p> <p>চসিক কাউন্সিলরদের বদলে কারা দায়িত্ব পালন করবেন—এ নিয়ে চসিকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, চসিকের ১৪ ওয়ার্ডে সংস্থাটির তিনজন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদ, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সনদ এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ইস্যু করে আসছেন। গত ১৮ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথক দুটি অফিস আদেশে তাঁদের এ দায়িত্ব দেন চসিকের সচিব। এর মধ্যে চসিকের ১ ও ৫ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ৭, ৯, ১১, ১৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। ২ ও ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিন ফেরদৌসী ৪, ৬, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এবং ৪ ও ৬ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী ১৫, ২১, ২৩, ২৫ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন। চসিকের সচিব তাঁদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, একই দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে আসতে পারে। প্রজ্ঞাপন এলে সেটা স্পষ্ট হবে।</p> <p>চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ বলেন, কাউন্সিলরদের পরিবর্তে কারা দায়িত্ব পালন করবেন, সেটা এখনো প্রজ্ঞাপন হয়নি। তবে আগে থেকে চসিকের তিনজন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কাউন্সিলরদের পরিবর্তে কাজ করছেন। যাতে মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়রের বদলে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম আর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।</p> <p> </p>