<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী ছয় আইনজীবী। তাঁরা হলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল, আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন, মো. আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী ওরফে এ জে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিল। তবে গত ২ মে তিনি মারা যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার মামলাটি (আদালত অবমাননার আবেদন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আদেশের জন্য ছিল। কিন্তু অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীর কোনো আইনজীবী না থাকায় মামলাটির অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মামলাটি না চালানোর সিদ্ধান্ত জানান। তখন আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন। আদেশে বলা হয়, আবেদনটি (মামলাটি) উত্থাপন না করায় তা খারিজ করা হলো। এর ফলে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান এই আইনজীবীরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে মামলার খরচ হিসেবে আবেদনকারীকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে জমা দিতে মামলার বাদীকে (আবেদনকারীকে) নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালতে সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছরের ১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ, হস্তক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি। এর পর থেকে এ দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে নানা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২৭ আগস্ট বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>