<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবকে এক মাসের মধ্যে এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি গঠনের দুই মাসের মধ্যে চুক্তির বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট ও সম্পূরক আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানির পর গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পাদিত চুক্তি সংশোধনে রাজি না হলে চুক্তি বাতিলের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং আদানি গ্রুপের সঙ্গে অসম, অন্যায্য ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তিটি কেন প্রতারণামূলক, অযৌক্তিক, বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৬ নভেম্বর রিট আবেদনকারী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চুক্তি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করতে অনুরোধ করা হয়। তা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করার কথা উল্লেখ ছিল নোটিশে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই আইনি নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ১২ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন এই আইনজীবী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালতে রিটের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন রিটকারী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আফরোজা ফিরোজ মিতা, কামারুন মাহমুদ দীপা ও মনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তানিম খান ও সৈয়দা সাজিয়া শারমিন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশের পাশাপাশি চুক্তি সম্পাদনের আগে আদানি গ্রুপের দর-কষাকষি হয়েছিল কি না, হয়ে থাকলে সেই দর-কষাকষি সংক্রান্ত যত তথ্য-উপাত্ত ও নথি আছে, সেগুলো এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই আইনজীবী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশীয় বা আন্তর্জাতিক চুক্তির মানদণ্ড হচ্ছে, চুক্তির শর্ত সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে হয়েছে কি না। আদানি গ্রুপের সঙ্গে এই চুক্তিটা আমরা মনে করেছি একপেশে ছিল, যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি।</span></span></span></span></span></p>