জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জবি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী সাবরিনা রহমান শাম্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার ভোরের দিকে কাঠেরপুলের তুনগঞ্জ লেনের ওই মেস থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাবরিনা রহমান শাম্মী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে।

সূত্রাপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শাম্মী কাঠেরপুলের তনুগঞ্জ লেনের ওই মেসের একটি কক্ষে একাই থাকতেন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডিবিপ্রধান রেজাউল

অপরাধীরা কেউ রক্ষা পাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অপরাধীরা কেউ রক্ষা পাবে না

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, সদ্য কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিলের আবেদন করা হবে। আগের মতোই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে তাঁদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব অপরাধীর কেউই আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, ৫ আগস্টের পর জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে নতুন করে অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগ এসেছে পিচ্চি হেলাল, ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। কারো কারো বিরুদ্ধে হয়েছে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা। তবে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুব্রত, পিচ্চি হেলাল, ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে পত্রিকায় নিয়মিত খবর হচ্ছে।

আধিপত্য নিয়ে তাঁরা বিরোধে জড়াচ্ছেন। বিভিন্ন অপকর্মে জড়ানোর তথ্য পাচ্ছি। রেকর্ড হচ্ছে, মামলা হচ্ছে। তবে আমরা তাঁদের পেলেই ধরে ফেলব।
কাউকে ছাড় দেব না। আপাতত আমরা তাঁদের জামিন বাতিলের আবেদন করব।’

গত কয়েক মাসে রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে দাবি করে রেজাউল করিম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে। প্রতিদিনই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

মন্তব্য
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসনের দাবিতে আহতদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সুচিকিৎসা, পুনর্বাসনের দাবিতে আহতদের সড়ক অবরোধ

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। গতকাল  শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারীরা সে সময় পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কের দুই লেন অবরোধ করে রাখেন। এতে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোড ও শ্যামলীর আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রাত ১২টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কের দুই লেন অবরোধ করে রেখেছেন। এতে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। এর আগেও চিকিৎসার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা।

সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় তাঁদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। এমন পরিস্থিতিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতাল, নিউরো সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমে আসেন।

এ সময় তাঁরা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

 

 

মন্তব্য
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

২৫ বছরেও মেলেনি আন্তর্জাতিক র‌্যাংক

♦ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী ♦ র‌্যাংকের জন্য একবারও আবেদন করা হয়নি
শেকৃবি সংবাদদাতা
শেকৃবি সংবাদদাতা
শেয়ার
২৫ বছরেও মেলেনি আন্তর্জাতিক র‌্যাংক

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘এ-গ্রেড’ ক্যাটাগারির ২৩ নম্বরে অবস্থান রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পর্যাপ্ত গবেষণা, গবেষণাবিষয়ক প্রকাশনী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপাত, মাস্টার্স ও পিএইচডির শিক্ষার্থীসংখ্যাসহ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রয়োজনীয় অনেক শর্তই বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরেও আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করা হয়নি। তাই তালিকাভুক্ত হয়নি বিশ্ব মানদণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এর জন্য প্রশাসনের উদাসীনতা বা ব্যর্থতাকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচবারের বেশি প্রশাসনিক দায়িত্বের পালাবদল হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভালো অবস্থানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি বিগত সময়ের  কোনো প্রশাসনকে। প্রয়োজনীয় সব তথ্যকে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক র‌্যাংক প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সংস্থায় সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

এ ছাড়া পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের বিপরীতে প্রয়োজনীয় ক্লাসরুম, গবেষণার জমির অভাব এবং বিদেশি শিক্ষার্থী কমে যাওয়াসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বিগত প্রশাসনিক আমলগুলোতে পদক্ষেপ গ্রহণে ছিল মন্থরতা। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংক না পাওয়ার জন্য এসব কারণকে দায়ী করছে দায়িত্বরত বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কোয়ালিটি অ্যাশিউর্যান্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. রজব আলী বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছরে একবারও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিবেচনার জন্য আবেদন না করার বিষয়টি লজ্জাজনক। আমাদের পরে প্রতিষ্ঠিত দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় ভালো র‌্যাংক করছে।

তাদের থেকে গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও মূলত মানসিকতায় আমরা এত দিন পিছিয়ে ছিলাম। না হলে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ এই সময় অতিক্রমের পরও কেন একবারও আবেদন করা হবে না।’

র‌্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত প্রশাসনের কোয়ালিটি অ্যাশিউর‌্যান্স ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ড. তুহিন শুভ্র রয় বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের জন্য কখনো আবেদন না করার তথ্য সত্য। তবে বাস্তবতা হলো, বিগত সময়ে প্রশাসনিকভাবে এই বিষয়গুলোতে খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়নি। আবার এ বিষয়গুলোতে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের প্রশাসনের উচ্চস্তরে কথা বলার জায়গাও ছিল কিছুটা সংকুচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কখনো আবেদন না করার বিষয় জেনে রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম। এ ছাড়া বেশ কিছু মানদণ্ডে আমরা পিছিয়ে আছি। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে সর্বদা ভালো অবস্থানে দেখতে চায়। তবে এই অবস্থার পরিবর্তনে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে  কিউএস এবং টাইমস হায়ার এডুকেশনস সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে এবং নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি ২০২৬ সালের মধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে ভালো অবস্থানে দেখতে পারবে।’

মন্তব্য

বন্যেরা বনে, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, ছাত্ররা ক্যাম্পাসে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বন্যেরা বনে, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, ছাত্ররা ক্যাম্পাসে : রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, তাই ছাত্র যারা তাদের জায়গা হচ্ছে ক্যাম্পাস। ছাত্ররা যদি প্রতি মন্ত্রণালয়ে একটি করে কমিটি করে, রাষ্ট্রের যে কাজ, সেটি তো হবে না। বিপন্ন অবস্থা হবে।’

গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী হলে ‘ঠিকানা বাংলাদেশের’ কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতিসভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন বক্তব্য দেন।

রিজভী বলেন, ‘ছাত্ররা যদি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে কমিটি গঠন করে, তাহলে তো ব্যবসায়ীরা তাদের পিছে ছুটবে। বালিশের নিচে টাকা দিয়ে আসবে। তাদের দুর্নীতির দিকে প্রভাবিত করবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘ছাত্রদের জায়গা ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বর। সেখানে গলা উঁচিয়ে চিৎকার করুন, আমরা শেখ হাসিনার মতো শাসন চাই না। কেউ যেন তার মতো না হয়। তাহলে মানুষ শুনবে।

কুমিল্লায় বিএনপির একজন কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘দেশে শঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। কেউ অন্যায় করলে গ্রেপ্তার করা হোক। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মেরে ফেলবে কেন! শেখ হাসিনার আমলের মতো বিচারবহির্ভূত হত্যা কেন ঘটবে? ড. ইউনূস নির্বাচিত সরকার না হলেও রাজনৈতিক দল এবং এ দেশের মানুষের সমর্থন রয়েছে। তাঁর (ড. ইউনূস) আমলে শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনো অবস্থায় কাম্য নয়।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ