<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের শরত্নগর বাজারে অবস্থিত হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে গত বুধবার রাতে দুই প্রসূতি লাকি খাতুন ও আতিয়া খাতুনের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার দুটিই করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান লাকি খাতুন। এরপর শনিবার রাতে মারা যান আতিয়া খাতুনও।   </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাকি জেলার চাটমোহর উপজেলার মহেলা গ্রামের আসাদের স্ত্রী। আর আতিয়া ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পূর্ব রামনগর গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় লাকির পরিবার অভিযুক্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করলেও ক্লিনিক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে আতিয়ার পরিবার। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্লিনিক ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে লাকি খাতুনের অস্ত্রোপচারের আগে আতিয়া খাতুনের সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক হালিমা খানম। অস্ত্রোপচার শেষে আতিয়া জ্ঞান হারালে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যান আতিয়া। এর আগে পরিবারের সদস্যরা হালিমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এবং ভুল চিকিৎসায় আতিয়ার মৃত্যু হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আতিয়ার দেবর মোন্নাফের অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের কথা বলে রাত ২টায় পাবনা থেকে এসে তড়িঘড়ি করে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক হালিমা। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে তাঁর ভাবি জ্ঞান হারালে হালিমা খানমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে তাঁকে রাজশাহীতে পাঠায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা চিকিৎসক ফুয়াদ ইসলাম খান বলেন, ওটিতে কোনো সমস্যা ছিল না। রক্ত দেওয়ার সময় লাকি খাতুনের সমস্যা হতে পারে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে দুই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, ‘লাকি খাতুন লিভার পেইন নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হন। এ ক্ষেত্রে এক মাস বাকি থাকতেই প্রসূতির অনুরোধেই অপারেশন করি। আরেক প্রসূতি আতিয়া খাতুন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।’ ফোনে না পাওয়ার বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ঘুমিয়ে থাকার কারণে তিনি রোগীর স্বজনের কল ধরতে পারেননি। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাঙ্গুরা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, দুই প্রসূতির মৃত্যুর ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></p>