<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টঙ্গীর আইচি খেয়াঘাট দিয়ে মানুষ টঙ্গী থেকে ঢাকার আবদুল্লাহপুরে যাতায়াত করত খেয়ানৌকা দিয়ে। জনপ্রতি ভাড়া ছিল দুই টাকা করে। এখন সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চালুর পর পাঁচ টাকা করে ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১ জুলাই আইচি খেয়াঘাটের ইজারা নেন টুটুল সরকার নামের এক ব্যক্তি। গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত তিনি। ঘাট ইজারা নিয়ে ঘাটের ৫৭টি বৈঠা নৌকার মাঝিকে বিদায় দিয়ে পাঁচটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা চালু করেন টুটুল। এতে বেকার হয়ে পড়েন ঘাটের বৈঠা নৌকার মাঝিরা। অন্যদিকে ইঞ্জিনের নৌকায় যাত্রীপ্রতি ভাড়া দুই টাকার জায়গায় পাঁচ টাকা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে টঙ্গী বাজার খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, টোল আদায়ের নির্ধারিত স্থানে বসে আছেন শাওন ও আমান নামের দুই ব্যক্তি। তাঁরা যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। তাঁরা বলেন, ইজাদারের আদেশে ১০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইজারাদার টুটুল সরকার বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বৈঠা নৌকার মাঝিদের প্রসঙ্গে বলেন, মাঝিদের দৈনিক ৩৫০ টাকা করে দিয়ে কাজ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা করবেন না। তাই ইঞ্জিনের নৌকা দিয়েছি। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টঙ্গী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. শাহ আলম মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে একাধিকবার ইজারাদারকে চিঠিও দিয়েছি। তবু  বেশি ভাড়া নিচ্ছে। আমি সময়ের অভাবে যেতে পারছি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>