<p>নোয়াখালীতে গতকাল রবিবার উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি না হলেও পানি তেমন কমেনি। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার প্রধান সড়কসহ সংযোগ সড়কগুলো এখনো পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। শহরে কিছুটা উঁচু জায়গা থাকলেও গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। নোয়াখালীতে বন্যা এখন দীর্ঘস্থায়ী রূপ ধারণ করেছে। দুদিনের মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুক্র ও শনিবার অবিরাম বর্ষণের কারণে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৮টিতেই বন্যার পানি বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, সোনাইমুড়ি ও চাটখিল উপজেলার বন্যার পানি। বিভিন্ন খাল দখলসহ খালের ওপর স্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণ করায় পানি নামছে খুবই ধীরগতিতে। জেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন জাযগায় বাঁধ কেটে দিলেও এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।</p> <p>এদিকে জেলার সেনবাগ, চাটখিল, সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জে এখনো ৩২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৬৬১ জনকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে দেখা গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যানুয়ায়ী এখনো পানিবন্দি রয়েছে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩০০ জন। এদের জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৪০টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।</p> <p>বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজন জানান, কবেনাগাদ আমরা আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে আমাদের বাড়িঘরে যেতে পারব, বলতে পারছি না। পানি একটু কমলেও আবার দুদিনের অবিরাম বর্ষণ আমাদের আরো দুর্বিপাকে ফেলেছে।</p> <p>সেনবাগ থেকে মামলায় হাজিরা দিতে নোয়াখালী জজকোর্টে আসা সোলেমান মিয়া জানান বাড়িতে পানি ডিঙিয়ে শহরে এসে দেখলাম সড়কে পানি।</p> <p>নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘নোয়াখালীতে বন্যা-পরবর্তী জলাবদ্ধতা আগে থেকেই ছিল। বৃষ্টির কারণে আরো বেড়ে গেছে। আমরা জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যা কিছু করণীয় তা করব, পাশাপশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আবহিত করে ব্যবস্থা নেব।’</p> <p> </p> <p> </p>