<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার কোনো বয়স নেই, আবারও প্রমাণ করলেন এক দরিদ্র মা। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মা শেফালী আক্তার ও ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদ অংশগ্রহণ করে উভয়ে পাস করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। কারিগরি শাখা থেকে মা পেয়েছেন জিপিএ ৪.৩৩ ও মানবিক শাখা থেকে ছেলে পেয়েছে ৪.৮৩। মা-ছেলে এক সঙ্গে এইচএসসি পাস করায় তাঁদের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেফালী আক্তার কালাদহ জনতা মহাবিদ্যালয় কারিগরি শাখা থেকে এবং ছেলে মেহদী হাসান মিয়াদ ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। মা-ছেলে এইচএসসি পাস করার খবরে শিবরামপুর গ্রামজুড়েই মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অষ্টম শ্রেণি পাস শেফালী আক্তার একটি এনজিওতে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করে সংসারে সহযোগিতা করতেন। পরে এনজিওতে একই পদে এইচএসসি পাস সার্টিফিকেটধারীদের নিয়োগ দেওয়া হলে তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর তিনি প্রতিজ্ঞা করেন এইচএসসি পাস করবেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনজিওর চাকরি চলে যাওয়ার পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শুশুতি বাজারে সাফা মেডিক্যাল সেন্টারের রিসিপশনে বিকেলের কাজ নেন। কিছুদিন পর আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি শাখায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন শেফালী আক্তার। তখন তাঁর ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদ শুশুতি উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে মা-ছেলে এক সঙ্গে স্কুলের উদ্দেশে বের হয়ে যেতেন। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মা-ছেলে উভয়ে পাস করেন। মা পেয়েছিলেন জিপিএ ৪.৭৫ ও ছেলে পেয়েছিল জিপিএ ৪.৩৯। এসএসসি পাস করার পর মা ভর্তি হন জনতা মহাবিদ্যালয়ে আর ছেলে ভর্তি হয় মিরপুর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে। এ বছর দুজনই এইচএসসি পাস করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলে মেহেদী হাসান মিয়াদ বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আম্মা আর আমি এক সঙ্গে এইচএসসি ও এসএসসি পাস করেছি। আম্মা এইচএসসি পাস করায় আমাদের পরিবারে অনন্দের বন্যা বইছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>