<p>চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহরের জনতা মার্কেট থেকে থানা রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। রাতের আঁধারে জনগণের কোলাহল এড়িয়ে মরিচা ধরা পুরনো রড, সিমেন্ট, মাতামুহুরী নদীর মাটিমিশ্রিত বালু ও স্থানীয় পাথর দিয়ে যেনতেনভাবে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সড়কটির দুই পাশে প্রতিরক্ষামূলক আরসিসি দেয়াল নির্মাণের কাজ। এতে এই কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।</p> <p>জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত চার কোটি ৮৪ লাখ টাকার এই কাজের ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয় পটিয়ার নিপা এন্টারপ্রাইজকে। নিপা এন্টারপ্রাইজ কাজটি বাস্তবায়নের জন্য সাব ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে সাহাব উদ্দিন নামের অপর ঠিকাদারকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাহী প্রকৌশলী, চকরিয়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজশে সাব ঠিকাদার সাহাব উদ্দিন নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাতের আঁধারে এই কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। যেখানে সওজের কোনো কর্মকর্তার তদারকি নেই বললেই চলে।</p> <p>নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক শ্রমিক জানান, এটি কোনো কাজই হচ্ছে না। এই কাজের কোনো স্থায়িত্ব থাকবে না। এই কাজে যেসব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তা একেবারে নিম্নমানের।</p> <p>এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘যদি ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে নতুন নির্মিত প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে এখন থেকে দিনের আলোয় যাতে কাজ করা হয় সে  জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’</p> <p> </p>