<p>কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে জামিন দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিচারক। আসামিকে জামিন দেওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে সেখানকার আদালতের কার্যক্রম ২১ অক্টোবরের পর থেকে স্থগিত রয়েছে। তবে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম জেলা শহর বরগুনায় চলমান রয়েছে। আসামি আর বাদী পক্ষকে পাথরঘাটা থেকে বরগুনায় গিয়ে হাজিরা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে।</p> <p>আওয়ামী লীগ নেতার জামিন মঞ্জুরের আদেশ হওয়ার পর ২১ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর চেম্বার ভাঙচুর করা হয়। রাতে পাথরঘাটা পৌর এলাকায় বিচারকের বিরুদ্ধে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ঘটনার পর থেকেই বিচারক পাথরঘাটা আসছেন না।</p> <p>এদিকে বিক্ষোভে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে নেমেছে পুলিশ। বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম গত ২৭ অক্টোবর ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫ ধারায় পুলিশকে বিক্ষোভের ঘটনার তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রতিবেদন আকারে দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>বরগুনা-২ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনিসহ দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুই বছর পর ৩ অক্টোবর মামলা হয়েছে। নুরুল ইসলামের ভাতিজা মো. সোলায়মান বাদী হয়ে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (পাথরঘাটা চৌকি আদালত) মামলাটি করেন। ওই আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে আসামি করা হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২০ অক্টোবর রাতে আব্দুল হালিম নামের এক বৃদ্ধকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এজাহারে নাম না থাকার পাশাপাশি বয়স্ক হওয়ায় তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ।</p> <p>পাথরঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘জামিনের আদেশ দেওয়ায় বাদীপক্ষের আইনজীবীরা ২১ অক্টোবর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা খুঁজে বের করতে আদালতের নির্দেশনা ৩০ অক্টোবরে পেয়েছি। সে অনুযায়ী তদন্ত শুরু করেছি। বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’</p> <p> </p>