<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন কোনো গ্রাম কিংবা বাড়ি ছিল না, যেখানে কেউ প্রাণ হারায়নি। বাড়ি, পুকুর, খাল-বিল ও নদী-নালায় ছিল লাশের মিছিল।  মহা প্রলয়ংকরী এক ঘূর্ণিঝড়ে মরণপুরীতে রূপ নিয়েছিল পটুয়াখালীর সাগরের বুকে জেগে থাকা দ্বীপ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাঙ্গাবালী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল দ্বীপের আকাশ-বাতাস। ৫৪ বছর আগের ভয়াবহ সেই স্মৃতি নিয়ে আজও বেঁচে আছে অনেকে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ (মঙ্গলবার) সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এই ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। আব্দুল জলিল মৃধা (৮৫) সদর ইউনিয়নের পুলঘাট বাজারসংলগ্ন সেনের হাওলা গ্রামের বাসিন্দা। সেদিন বড় দোতলা ঘর থাকায় আশপাশের লোকজন তাঁর বাড়িতে ছুটে এসেছিল। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসা তিন থেকে সাড়ে তিন শ মানুষ সেদিন ঘরচাপা পড়ে মারা গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন জলিল মৃধার মা এবং বোনও। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেদিনের ঘূর্ণিঝড়ে মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া অনেকেই বলছেন, বাড়ি, পুকুর, খাল-বিল ও নদী-নালায় ছিল লাশ আর লাশ।</span></span></span></span></span></p>