<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিদিন শত শত শীতের কম্বল, বিভিন্ন চকোলেট, প্রসাধনী দ্রব্য অবৈধভাবে চোরাকারবারিরা নিয়ে আসছে বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে। পরে এসব পণ্য যশোর, খুলনা, নোয়াপাড়া, দৌলতপুর ও খুলনা থেকে আসা শতাধিক নারী-পুরুষ চোরাকারবারিরা বেনাপোল-খুলনা-মোংলাগামী কমিউটার ট্রেন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেতনা এক্সপ্রেস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও বেনাপোল-ঢাকাগামী </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনাপোল এক্সপ্রেসে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে। এটা বেনাপোল রেলস্টেশনের প্রতিদিনের দৃশ্য। রেল পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার সদস্য ও দালালের সহযোগিতায় এ কারবার চলছে অবাধে। এসব ট্রেনে কোনো তল্লাশি চালানো হয় না। যাত্রীদের সামনেই চোরাচালানিদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা যায় এসব বাহিনীর লোকদের। মাঝে মধ্যে বিজিবি সদস্যরা এসে ঘুরে চলে যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সড়কপথে ঢাকা-বেনাপোল সড়কের আমড়াখালিতে বিজিবি চেকপোস্ট, বেনাপোল বন্দর থানা, নাভারণ হাইওয়ে ফাঁড়ি, শার্শা থানা, ঝিকরগাছা থানা অতিক্রম করা ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ ট্রেনে চোরাই পণ্য পরিবহন অনেক সহজলভ্য ও খরচ কম। বেনাপোল থেকে যশোর, খুলনা আর কোথাও বাধা নেই, নেই কোথাও বিজিবি বা পুলিশ। তাই বেশির ভাগ চোরাকারবারি বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া বেতনা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিকে তাদের মালপত্র পাচারের নিরাপদ বাহন হিসেবে ব্যবহার করছে। ট্রেনের মধ্যে দায়িত্বে নিয়োজিত রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলো থেকে নির্দিষ্ট হারে টাকা পায়। আর থানা এলাকা পার হতে চোরাকারবারিরা থানার দালালদের দিচ্ছে নির্দিষ্ট হারে টাকা। যখনই কোনো চোরাকারবারি এসব দালালকে টাকা দিতে অস্বীকার করে, তখনই দালাল ও চোরাকারবারিদের মধ্যে তুলকালাম শুরু হয়। এভাবেই চলছে বেনাপোল থেকে খুলনা ও ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রীসেবা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন বেনাপোল থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ও বিকেল ৫টায় দুবার যাওয়া-আসা করে। আর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১টায় ছেড়ে যায় বেনাপোল থেকে। এসব ট্রেনে কম্বলের সঙ্গে মাদক, থ্রিপিস, চকোলেট, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধন সামগ্রী, ইমিটেশন গয়না, সিগারেট, মোবাইল, কাপড়, কিসমিস, নিম্নমানের চা-পাতা, আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধসহ বড় বড় চালান নির্বিঘ্নে নিয়ে যাচ্ছে যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। এসব পণ্য আগে বৈধ পথে আমদানি হয়ে এলেও এখন সবই আসছে চোরাই পথে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনাপোল থেকে যশোর যাতায়াতকারী রেলযাত্রী আনারুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি প্রতিদিন ব্যবসার কাজে যশোর থেকে বেনাপোল যাতায়াত করি। আসা-যাওয়ার পথে দেখি যেভাবে মহিলা চোরাচালানিরা ভারতীয় কম্বলসহ অন্যান্য মালপত্র নিয়ে ওঠে, তা কল্পনা করা যায় না। আগে এসব মালপত্র আমদানি করে আনা হতো। সরকারও রাজস্ব পেত। সরকার এসব মালাপত্রের মূল্য ও ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়ায় চোরাই পথে আসছে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা যাত্রীদের ভালো সেবা দিতে কাজ করছি। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য রেল পুলিশ রয়েছে। এটা তাদের কাজ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনাপোল রেলওয়ে ফাঁড়ির দায়িত্বে নিয়োজিত এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, রেলওয়ের যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফিটসহ রেলের সব স্থাপনায় সংঘটিত অপরাধ বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ দেখভাল করে থাকে। চোরাচালানরোধে রেল পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>