মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন টিলায় রাতের আঁধারে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি চক্র। কোনো অবস্থায় বন্ধ হচ্ছে না টিলা কাটার মহোৎসব। এ অবস্থায় আসন্ন বর্ষায় বৃষ্টি হলেই টিলা ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়চেক গ্রামের রাস্তার পাশের বিশাল একটি টিলার অর্ধেক অংশ কাটা অবস্থায় আছে।
টিলার ধাপে ধাপে গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। কেটে নেওয়া টিলার ওপরের অংশে ইটের তৈরি একটি বসতঘর, মাটির তৈরি একটি টিনের ঘরসহ চারটি ঘর অবস্থিত। নিচেও একটি আধাপাকাসহ কয়েকটি বসতঘর রয়েছে। বিশেষ করে কাটা টিলার ওপরের ঘরগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বড়চেক গ্রামের বিশাল টিলাটি ওই গ্রামের ওয়াতির মিয়ার দখলে। তিনি মালিকানা দাবি করে ওই টিলায় কয়েকটি ঘর তৈরি করেছেন। পাশাপাশি টিলার একটি অংশে কয়েক দিন ধরে শ্রমিক নিয়োগ করে টিলা থেকে মাটি কাটছেন। প্রতিদিন ট্রাকে করে টিলার লাল মাটি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
টিলার দুই দিকে বিশাল কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়েছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসীর দাবি, পাহাড়ি টিলাটি সরকারের খাসভুক্ত। ওয়াতির মিয়া জোরপূবর্ক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে নিজের দখলে রেখেছেন এবং এখন সেই টিলার মাটি কেটে বিক্রি করছেন।
অভিযুক্ত ওয়াতির মিয়া টিলা কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘর নির্মাণের জন্য টিলার সামান্য অংশ কেটেছি। আর কাটব না।
’ টিলাটি সরকারি নয়, নিজের মালিকানা দাবি করেন তিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’